আজ জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমরা আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছি। তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল সপরিবারে। এমন মর্মান্তিক রাজনীতিক হত্যার ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। ১৯৭১-য়ের স্বাধীনতাযুদ্ধে পরাজিত শত্রুরা তাঁর উদারতার সুযোগ নিয়ে তাঁকে হত্যা করেছিল এবং প্রকারান্তরে স্বাধীন বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানি ভাবাদর্শে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে দেশকে আগের মতোই শাসন ও শোষণ করতে বদ্ধপরিকর ছিল। দীর্ঘ প্রায় দুই দশক শত্রুরা শাসনশোষণের তা-ব চালিয়ে দেশকে পাঁচ পাঁচ বার বিশ্বসেরা দুর্নীতিবাজ দেশের শিরোপা পর্যন্ত পাইয়ে দিয়েছে এবং সেই সঙ্গে দেশে একটি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পরিপ্রেক্ষিত তৈরিতে সদাসর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। কিন্তু জাতির সৌভাগ্য যে, পাকিস্তানি উপনিবেশের শাসনশোষণ থেকে জাতিকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু আর ১৯৭৫-য়ে রাজনীতিক পটপরিবর্তনের পর বিপন্ন সময়ের ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিতে জাতিকে স্বাধীনতাবিরোধীদের হাত থেকে রক্ষা করার দৃপ্ত শপথে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা এগিয়ে আসেন। আজ তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বের কল্যাণে মধ্য আয়ের দেশে উপনীত হয়েছে বাংলাদেশ।
বাঙালির জন্য এই শোক দিবস কেবল শোক দিবস নয়, শক্তি সঞ্চয় ও শপথ গ্রহণেরও দিন। বাঙালিকে শপথ নিতে হবে বিজয়ের পথে এগিয়ে যাবার। বাঙালি কোনও বাধাকেই বাধা বলে মানবে না। একাত্তরে যেমন মরণপণযুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। তেমনি অগ্রযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রে বাঙালি জয়ী হবে। জাতির জনকের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকীতে শপথ হোকÑ বাঙালি এগিয়ে চলো, বাঙালি আগে বাড়ো।