১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে পদদলিত করে রাখার অভিপ্রায়ে পাকিস্তানিরা ও সা¤্রাজ্যবাদী আন্তর্জাতিক শত্রুরা মিলে বাংলাদেশে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল। তারা এই দেশকে চিরদিনের মতো ভিক্ষুক করেই রাখতে চেয়েছিল। এমনকি এই দেশকে একদিন তারা ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে ব্যঙ্গ পর্যন্ত করতো। মজার ব্যাপার হলো, সর্বপ্রকার সম্পদে সমৃদ্ধ এই দেশকে তারা দখল করে নিয়ে ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করেই কিন্তু ‘তলাবিহীন ঝুড়িতত্ত্ব’ সৃষ্টি করেছিল। প্রকৃতপ্রস্তাবে এই দেশ কোনও দিনই ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ ছিল না এবং এখনও নয়। দেশের খেয়ে দেশের পরে যে-কুলাঙ্গাররা এই দেশকে বিদেশিদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল এবং সে-লক্ষ্যে একাত্তরে বিদেশিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিল, তারাই একদিন দেশরাষ্ট্রের স্থপতিকেও হত্যা করেছিল। ষড়যন্ত্র করে এই দেশকে পরাধীন করে রেখে এই দেশের সম্পদ কেড়ে নিয়ে গিয়ে নিজেরা সম্পদশালী হওয়ার প্রচেষ্টাই চালিয়েছে সব সময় সা¤্রাজ্যবাদীরা, দেশীয় দালালদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে। তারা চেয়েছে এ দেশকে ভিক্ষুকের দেশ করে রাখতে। কিন্তু পারেনি। এই দেশ উঠে দাঁড়িয়েছে এবং এবার দেরিতে হলেও ভিক্ষুক পুনর্বাসনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
এই দেশের একটি পশ্চাদপদ জেলা সুনামগঞ্জ। এখানে জেলা প্রশাসক বলেছেন, ‘ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আশা করি শীঘ্রই পুনর্বাসন শুরু করা যাবে।’
এই কর্মসূচিতে আমরা জেলাবাসী জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আছি এবং এই আশা রাখি যে, গত বছর হাওররক্ষাবাঁধের কাজ যে-রকম সুম্পন্ন হয়েছে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রমও তেমনি সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হবে। আর যে-সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁদের বেতনের একদিনের অংশ পুনর্বাসন কার্যক্রমে প্রদান করেছেন, তাঁদেরকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই।