সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বান্দরবানে একজন বৌদ্ধ পুরোহিত মং সানু মার্মা ও ঝিনাইদহে হিন্দু মন্দিরের গোসাঁই শ্যামানন্দ দাসকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন আইএস। শুক্রবার সংগঠনটির মুখপাত্র ‘আমাক’-এর বরাত দিয়ে ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স’ এ খবর দিয়েছে।
৩০ জুন বৃহ¯পতিবার রাত ১০টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি ইউনিয়নে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে আইএসের বিবৃতিতে মং সানু মার্মা (৫৫) নামের ওই ব্যক্তিকে বৌদ্ধ নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
১ জুলাই ২০১৬ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উত্তর কাষ্ট সাগরা গ্রামের শ্রী শ্রী রাধামদন গোপাল মঠ মন্দিরের গোসাঁই শ্যামানন্দ দাসকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোরে শ্যামানন্দ দাস মন্দিরের পাশে পূজার জন্য ফুল কুড়াচ্ছিলেন। এ সময় তিন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে করে এসে তাকে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
এ সময় এলাকাবাসী গোসাঁই শ্যামানন্দ দাসকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, বৃহ¯পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বাইশারি বাজার থেকে দাপনখালী পাড়ার নিজ বাড়িতে ফেরার সময় মং সানু মার্মা (৫৫) কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তরা মং সানুকে পেছন দিক থেকে তিনটি কোপ দেয় এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, মং সানু মার্মা বাইশারি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তারাবির নামাজ শেষে স্থানীয়রা নিজ নিজ বাড়িতে ফেরার পথে মং সানুর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মং সানু মার্মার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার বড় ভাই উথাল্লা মার্মার জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধ নি®পত্তির জন্য স্থানীয় হেডম্যান, পুলিশসহ স্থানীয়রা একাধিকবার সালিশে বসে। এই বিরোধের জের ধরে হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হত্যাকান্ডটি ঘটতে পারে।