বিশেষ প্রতিনিধি ::
মাত্র মাস দু’য়েক আগে হাওর এলাকায় পাহাড়ি ঢল আর বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার হেক্টর বোরো ফসলি জমি। বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে জেলার লাখো কৃষক মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আর দিন ছ’য়েক পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলমান ধর্মালম্বীদের প্রধান উৎসব। কিন্তু হাওর এলাকার মানুষের মুখে হাসি নেই। লাখ লাখ মানুষের মুখে হাসি না থাকলেও এতে ভ্রƒক্ষেপ নেই রাজনৈতিক নেতাদের। ২৩ রমজান চলে গেলেও এসব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি রাজনৈতিক দলের নেতাদের। সদ্য ইউপি নির্বাচনে বিভিন্ন দলের যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরও অসহায় মানুষদের সাহায্য-সহযোগিতা করতে দেখা যাচ্ছে না।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। সর্বশেষ সপ্তাহখানেক আগে তিনি জেলা শহরে এসেছিলেন, অংশ নিয়েছিলেন ইফতার পার্টিতে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ফসলহারা মানুষদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি তাঁকে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন বুধবার সুনামগঞ্জে এসেছেন। তিনি হাওর এলাকার ফসল হারানো কৃষকদের পাশে দাঁড়াবেন কিনা তাঁর ঘনিষ্ঠজনরা নিশ্চিত করতে পারেন নি।
সারাদেশে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা অসহায় গরিব-দুখীদের পাশে দাঁড়ালেও এক্ষেত্রে অনেকটাই ব্যতিক্রম সুনামগঞ্জ। এখন পর্যন্ত তাদের সহায়তা তৎপরতা চালাতে দেখা যায়নি।
সদর আসনের এমপি অ্যাডভোকেট পীর ফজুলর রহমান গত কয়েক দিন ঢাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি অবশ্য বুধাবর থেকে সাহায্য দেয়া শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন।
দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপি। এই দলটির নেতাকর্মীরা জেল-মামলা খেয়ে অনেকটা বিপর্যস্ত। বৈশাখ মাসে সুনামগঞ্জকে দুর্গত জেলা ঘোষণার দাবি জানালেও ঈদ উপলক্ষে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর তাদের কোন পরিকল্পনা নেই।
জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন বলেন, সাধারণ মানুষকে সাহায্য দেয়ার কোন উদ্যোগ আপাদত আমাদের নেই।
জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমনকে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
জেলা জাপা’র আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এমপি বলেন, আমার ঐচ্ছিক তহবিল থেকে বুধবার ৩লক্ষ টাকার চেক অসহায় মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। গরিব দুখী মানুষকে সহায়তা অব্যাহত থাকবে।