স্টাফ রিপোর্টার ::
অসহনীয় অটোজটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শহরের বাসিন্দারা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই দুঃসহ গরমে নাগরিকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শহরের অলি-গলি দখল করে যত্রতত্র পার্কিং করে রাখা অটোরিকশাগুলো শহরবাসীর কাছে এখন ভোগান্তির অন্যনাম।
নাগরিকরা জানান, পুরাতন বাসস্টেশন থেকে হকার্স মাকের্টের মোড় পর্যন্ত প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অটোজট লেগে থাকে। বিশেষ করে কামারখালের মুখ থেকে কালিবাড়ি পয়েন্ট পর্যন্ত সর্বক্ষণ জট লেগে থাকে। ওই এলাকায় অটোগাড়ির পাশাপাশি এখন রাস্তার দুই পাশে সিএনজিও পার্কিং করায় রাস্তা আরো ছোট হয়ে গেছে। ফলে যানজট লেগেই থাকে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা, সকাল সাড়ে ১১টা, দুপুর আড়াইটা, বিকেল সোয়া ৪টায় ওই এলাকায় দীর্ঘক্ষণ যানজট লেগে থাকতে দেখা গেছে। ওই সময় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে যানজট মোকাবেলায় হিমশিম খেতে দেখা যায়। এছাড়া প্রতিদিনই অটোগাড়ির কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। অটোগাড়িই যানজটের কারণ বলে অনেকেই জানিয়েছেন।
শহরের হাজীপাড়ার বাসিন্দা টিটু বলেন, অটোগাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে এখন যানজট দুঃসহ হয়ে দাড়িয়েছে। কামারখাল থেকে আলফাত স্কয়ার পর্যন্ত যেভাবে যানজট স্থায়ী হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করা পৌর কর্তৃপক্ষের জরুরি।
আলীপাড়ার বাসিন্দা রেজা বলেন, সুনামগঞ্জে এভাবে যানজট স্থায়ী হবে আমরা কিছুদিন আগেও ভাবতে পারিনি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্তই অটোগাড়ির কারণে যানজট স্থায়ী হচ্ছে। এই দুর্ভোগ থেকে নাগরিদের রক্ষা করা উচিত।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র হোসেন আহমদ রাসেল বলেন, আমি নিজেই গতকাল তিনবার যানজটে পড়েছিলাম। শীঘ্রই আমার পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী সমাজ ও ট্রাফিক পুলিশকে নিয়ে বসে যানজট নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ নেব। যেভাবে যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে আগামীর জন্য বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিবে।