সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
৩৭ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ অবলোপন (ছাড়) করা হয়েছে উল্লেখ করে এর তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘এই অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? এটা জনগণের টাকা, পেনশন ভোগীদের টাকা। এই টাকা আপনি মওকুফ করে দিয়েছেন। এই অধিকার আপনাকে আমরা দেইনি।’
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এরআগে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে ¯িপকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বাজেটের সমালোচনা করে বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বিরাট বাজেট দিয়েছেন। বাজেট বড় হলেই জনগণের জনগণের কল্যাণ হবে তা বলা যাবে না। বাজেট দেয়ার পর ব্যবসায়ীরা বলেছেন এমন জটিল বাজেট তারা আর দেখেনি। তারা যদি এ কথা বলে তাহলে কিভাবে হবে?’ এ সময় ব্যাংকের অর্থ জালিয়াতকারী ও অর্থ পাচারকারীদের বিচারের দাবি জানান তিনি।
বাজেটে কোন সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা লুটেরা তাদের বিচার করতে পারেন না। তারা মাথা উঁচু করে আছেন। আমার সময় তো কোনো ব্যাংক জালিয়াতি হয়নি। পারলে দেখান আমার সময় কোন ব্যাংক লুটপাট হয়েছে। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।’
২০১১-১২ সালে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছিল উল্লেখ করে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমরা এখনও তা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। আমি শেয়ার বাজারে গিয়েছিলাম। কান্না শুনেছি, আর্তনাদ শুনেছি। জনাব ইব্রাহীমের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির রিপোর্ট আমরা জানতে পারিনি, কোন প্রভাবও দেখিনি। তাহলে এই কমিটি করে লাভ কী?’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ বলেন, অর্থমন্ত্রী নিজেই বলেছেন ব্যাংকে সাগর চুরি হয়েছে, তাহলে তো আমাদের বলার কিছু থাকে না। তবে এই দায় কার? অর্থমন্ত্রী আপনি কেন অপরাধীদের ঢেকে রেখেছেন, কেন নাম প্রকাশ করছেন না? আপনি তো আমারও অর্থমন্ত্রী ছিলেন। আমার সময় কি কোনো ব্যাংক লুটপাট হয়েছে? আপনি এই দায় এড়াতে পারেন না। আপনি আর্থিক খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র বের করুন।
তিনি বলেন, আমরা এখানে যারা আছি, সরকারি দল হোক আর বিরোধী দল সবাই বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের উন্নয়ন চাই। আমরা বিরোধী দল করি। ভিন্ন মত আছে। জনগণ আমাদের ম্যানডেট দিয়েছে সরকারের ভুল ত্রুটি তুলে ধরার জন্য। সরকারের বন্দনা করার জন্য নয়। সরকারি লোক ও সরকারি কর্মকর্তারা আছেন সরকারের বন্দনা করার জন্য। আমরা বাস্তব অবস্থা তুলে ধরতে চাই।