স্টাফ রিপোর্টার ::
দীর্ঘদিনের জনদাবি এবং সাম্প্রতিক উন্নত বাস সার্ভিসের দাবিতে জনআন্দোলনের কারণে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে যাত্রীসেবায় নিয়োজিত চারটি মালিক সমিতি বিরতিহীন বাসে পথে যাত্রী ওঠা-নামা বন্ধের ঘোষণা দিলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আগের নিয়মেই ড্রাইভার কন্ডাক্টর পথে পথে যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নত যাত্রীসেবার ঘোষণা দিয়েও বাস্তবায়ন করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
গত ১৯ জুন ২৯১ নম্বর গাড়িতে সকাল ১০টার পর রওয়ানা দেন এই প্রতিবেদক। কিছু দূর যেতে না যেতেই দিরাই রাস্তা থেকে ৩জন সিলেটের যাত্রী ওঠানো হয়। একইভাবে জাউয়াবাজার থেকে আরো ২জনকে ওঠানো হয়। এই সময় কয়েকজন যাত্রী রাস্তা থেকে যাত্রী না ওঠানোর অনুরোধ জানালেও ড্রাইভার ও হেলপার যাত্রীদের কথা কানেই তোলেননি। গতক রোববার ফের এই প্রতিবেদক সকাল ১০.২০ ঘটিকায় সিলেট জ-১১-০৩৯১ গাড়িতে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। দিরাই রাস্তায় গিয়ে ৩জন, পাগলাবাজারে ২জন, দামোধরতপি থেকে একজন এবং জাউয়াবাজার থেকে আরো দু’জন যাত্রী ওঠানো হয়। এসময় একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি অঙ্কুর করলে কন্ডাক্টর উল্টো ওই যাত্রীকে হুমকি দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মালিক সমিতির রাস্তায় যাত্রী ওঠা-নামা বন্ধের ঘোষণা ও শাস্তির কথা মানছেনা শ্রমিকরা। তারা আগের মতোই পথে পথে বিরতি দিয়ে যাত্রী ওঠা-নামার মাধ্যমে ‘বিরতিহীন’ সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে।
গত মাসে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে পরিবহন ব্যবসায় নিয়োজিত ৫টি মালিক সমিতির সংশ্লিষ্টরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিরতিহীন গাড়ির ভাড়া ১০টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেন। ওই সময় তাঁরা বিরতিহীন গাড়িতে যাত্রী হয়রানি কমাতে দুটি ভিজিলেন্স টিম গঠন ও আইন অমান্য করে যাত্রী ওঠানামা করালে শাস্তির ঘোষণা দেন। কয়েকদিন শ্রমিকরা এই ঘোষণা মানলেও এখন আবার অধিকাংশ শ্রমিকই আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।
শহরের হাছননগর এলাকার বাসিন্দা জাহিদুল হক বলেন, মালিক সমিতির যাত্রীসেবার মানোন্নয়নের ঘোষণায় খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই শ্রমিকদের অধিকাংশই আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। তারা ইচ্ছে মতো পথে পথে বিরতি দিয়ে যাত্রী ওঠা-নামার মাধ্যমে ভোগান্তির বিরতিহীন সেবা দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ঘোষিত শাস্তি কার্যকরের দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ বাস মিনিবাস মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সেক্রেটারি মোজাম্মেল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।