ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সুনামগঞ্জের অধিকাংশ নলকূপে পানি উঠছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শহরের হাজারো মানুষ। পানির অভাবে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জানিয়েছে, গভীর নলকূপ বসানো ছাড়া এই সমস্যার আপাতত কোনো সমাধান নেই। অপরদিকে, বসতি বৃদ্ধি পাওয়ায় সুনামগঞ্জ পৌর এলাকায় পানির চাহিদাও বেড়ে গেছে। কিন্তু চাহিদামতো পানি সরবরাহ করতে পারছে না পৌর কর্তৃপক্ষ।
গতকালের সুনামকণ্ঠে এ সংক্রান্ত যে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে তাতে জানানো হয়েছেÑ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সুনামগঞ্জ পৌরসভায় প্রায় পাঁচ শতাধিক নলকূপে পানি উঠছে না। ফলে শুষ্ক মৌসুমে পৌরবাসীকে পানির জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষের প্রতিদিনের পানির চাহিদা প্রায় ১০ লাখ লিটার। চাহিদার বিপরীতে পৌরসভা থেকে সরবরাহ করা হয় মাত্র দেড় লাখ লিটার পানি। আবার শহরে ৯ হাজার হোল্ডিংয়ের বিপরীতে মাত্র ৩ হাজার গ্রাহককে পানি সরবরাহ করে পৌরসভা। পুরাতন সীমানা অনুযায়ী পানি সরবরাহ করা হলেও বর্ধিত পৌরসভায় পানি সরবরাহের কোনো ব্যবস্থাই নেই। এসব এলাকায় গ্যাস, ডিস, বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলেও নেই শুধু পানি সরবরাহ। এ জন্য বর্ধিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ আরো চরম।
গত কয়েক বছর ধরেই ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ এই চার মাস শহরের অধিকাংশ নলকূপে পানি উঠে না। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়াই এর কারণ।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে নতুন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের নির্মাণ কাজ শেষ হলে পুরাতন দেড় লাখের সঙ্গে আরো সাড়ে তিন লাখ লিটার পানি পৌরবাসীকে সরবরাহ করা সম্ভব। আমরা চাই, এই ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজ দ্রুত শেষ করা হোক। তাছাড়া বর্তমানে পানির জন্য সৃষ্ট জনদুর্ভোগ লাঘবে কর্তৃপক্ষের উচিত সংকটপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিকল্প ব্যবস্থায় পানি সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া। পৌরসভার বর্ধিত এলাকাগুলোতে পানি সরবরাহে কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হবে এটাই প্রত্যাশা।