উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও সুনামগঞ্জ শহরে চলছিল অটোরিকসার দৌরাত্ম্য। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনাসহ শহরের যানজটের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল অটোরিকসা। বেপরোয়া এই যানে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। সম্প্রতি শহরের ষোলঘর পয়েন্ট এলাকায় ৪ বছরের শিশু মুহূর্ত দাস অটোরিকসার ধাক্কায় নিহত হবার পর এই মরণযান চলাচল বন্ধের দাবি জোরালো হয়ে উঠে। পালিত হয় বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, সড়ক অবরোধসহ নানা প্রতিবাদী কর্মসূচি। জনদাবির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে মঙ্গলবার পৌর শহরের অভ্যন্তরীণ সকল ছোট-বড় সড়কে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অবৈধ অটোরিকসা চলাচল বন্ধের গণবিজ্ঞপ্তি দেয় সুনামগঞ্জ পৌরসভা। এই সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এটি অত্যন্ত সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত। তবে আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় যে, অটোরিকসা চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে এর চালকরা বেকার হয়ে পড়বে এমন ধুয়ো তুলে অসাধুরা সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। এক্ষেত্রে মুষ্টিমেয় সুবিধাভোগীর কথা বাদ দিয়ে শহরের সাধারণ নাগরিকদের কথা ভাবতে হবে। কিছু লোকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে আমরা আমাদের নাগরিক জীবনকে হুমকির মুখে কিছুতেই ঠেলে দিতে পারি না। যে যান মানুষ মারে, যে যান নাগরিক সমস্যার সৃষ্টি করে সেই যান পুনরায় চালু হোক এটা কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়। তাই সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে- গৃহীত সিদ্ধান্ত বজায় রাখতে হবে। আর কিছুতেই যাতে শহরে অটোরিকসার নৈরাজ্য সৃষ্টি না হয় সে জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে। কোনো অবস্থাতেই গৃহীত সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা সমীচীন হবে না। নাগরিকবান্ধব, সুশৃঙ্খল সুনামগঞ্জ পৌরএলাকা চাইলে অবশ্যই অটোরিকসা চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।