স্টাফ রিপোর্টার ::
হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে নীতিমালা লঙ্ঘন, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ এবং যথাসময়ে বাঁধ নির্মাণ সমাপ্ত না করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি। শনিবার সকালে শহরের আলফাত স্কয়ারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি অ্যাড. বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু।
সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালেহিন চৌধুরী শুভ-এর পরিচালনায় মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন অ্যাড. স্বপন কুমার দে, হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, বিকাশ রঞ্জন চৌধুরী ভানু, রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নৃপেশ তালুকদার নানু, হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম হেলাল, মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর, অ্যাড. রুহুল আমিন, সমর দাস, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, এমরানুল হক চৌধুরী, ডা. মুর্শেদ আলম, নির্মল ভট্টাচার্য্য, একে কুদরত পাশা, চন্দন কুমার রায়, গোলাম সাবেরীন সাবু, প্রভাষক দুলাল মিয়া, ইয়াকুব বখত বহলুল, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান পীর, ইশতিয়াক আহমেদ রুপু, তোহা মির্জা, জেলা খেলাঘরের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমদ, কোষাধ্যক্ষ প্রদীপ পাল, মো. ওবায়দুল হক মিলন, শহীদ নূর আহমেদ, এইচ এম জাকারিয়া, মুহিবুর রহমান, শাহাব উদ্দিন, জিয়াউর রহমান, আবু সাইদ, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাওরের বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি কিন্তু আজ ২৪ তারিখ হয়ে গেলেও বাঁধের কাজ শেষ হয় নাই। যারা জনগণকে কথা দিয়েছিলেন কৃষকদের ভাল রাখবেন, তারা নিজেরাই দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে যাচ্ছেন। এই সকল দুর্নীতি প্রতিহত করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, হাওরের বাঁধ নির্মাণের নীতিমালায় পরিবর্তন করা হলেও প্রভাশালীরা পিআইসিতে থাকার কারণে সঠিকভাবে বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে না। প্রত্যেকটি বাঁধের পিআইসি’র পিছনে চেয়ারম্যান-মেম্বাররা রয়েছেন কিন্তু আমরা বলেছিলাম তাদেরকে রাখা যাবে না।
বক্তারা বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। এবার যদি কৃষকের ক্ষতি হয় তাহলে আবার ঘেরাও হবে। এবার শুধু পানি উন্নয়ন বোর্ড না সুনামগঞ্জের মানুষকে নিয়ে আমরা প্রশাসনও ঘেরাও করবো।
বক্তারা আরো বলেন, ইতোমধ্যে অনেক বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোথাও মাটির পরিবর্তে বালি দিয়ে বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে আগে বাঁধ নির্মাণ না করে বিল উত্তোলনের জন্য পুরাতন বাঁধের উপর মাটি ফেলে প্রগ্রেস দেখিয়ে বিল উত্তোলন করা হয়েছে। এ বিষয়ে পাউবোর এসও’দের সতর্ক হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যদি সকল বাঁধের কাজ প্রশাসন শেষ ঘোষণা করতে পারেন তাহলে আমরা আর মানববন্ধন নয় প্রশাসনকে অভিনন্দন জানিয়ে মিছিল-সমাবেশ করবো। আমরা চাই হাওরের ফসল নিরাপদে কৃষকের ঘরে উঠুক। যদি কারো গাফিলতির কারণে কৃষকের ফসল ঘরে না উঠে তাহলে তাদের ক্ষমা করা হবেনা। হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন অতীতে যেমন কৃষকের পক্ষে ছিল এবারো কৃষকের পক্ষে থাকবে এবং যেখানে দুর্নীতি হবে সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।