বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণা জানিয়েছে, অতিরিক্ত স্বাস্থ্য ব্যয়ের কারণে চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে দেশের সাড়ে ৪ শতাংশ মানুষ। দৈনিক আয় যাদের ৩ দশমিক ১ ডলার, অতিরিক্ত স্বাস্থ্য ব্যয়ের কারণে দারিদ্র্যের কবলে পড়ছে তাদের ৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
দরিদ্ররা তাদের চিকিৎসার জন্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু সেখানে যদি তারা কাক্সিক্ষত সেবা না পান, তবে তা দুঃখজনক।
বিশেষজ্ঞ মহল থেকে বলা হচ্ছে ওষুধের দাম, চিকিৎসকদের রোগী দেখার ফি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য খাতে ব্যক্তিপর্যায়ে খরচ ক্রমেই বেড়েই চলেছে। ব্যবস্থাপত্রে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লেখা বা প্রয়োজন ছাড়াও অস্ত্রোপচার চিকিৎসা ব্যয় বাড়াচ্ছে। চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে অনেক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে।
আমরা মনে করি, সবার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে সরকারকে আরো উদ্যোগী হতে হবে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে মানস¤পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানস¤পন্ন সেবা সহজলভ্য করা যেতে পারে। তাছাড়া সবার জন্য সুলভে মানস¤পন্ন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
সরকার একদিকে দারিদ্র্য দূরীকরণে জোর দিচ্ছে, অন্যদিকে স্বাস্থ্য ব্যয় মেটাতে গিয়ে আবার মানুষ দরিদ্র হচ্ছে। এ অবস্থা কিছুতেই কাম্য নয়।
বর্তমান সময়ে দেশের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এখনো শহর ও নগরকেন্দ্রিক। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এখনো উন্নত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। কাক্সিক্ষত স্বাস্থ্যসেবা দরিদ্র মানুষের নাগালের বাইরে রয়েছে। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারকে আরো উদ্যোগী হতে হবে।