ভিটামিন ‘এ’ শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষাই করে তাই নয়, ভিটামিন ‘এ’ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়া এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় পুষ্টিসেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান গুরুত্ব সহকারে বছরে দুইবার ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন করে থাকে। ৬-১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো, ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ক্যাপসুল ক্যাম্পেইনে খাওয়ানো হয়।
ভিটামিন ‘এ’ যে শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়, ভিটামিন এ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। জেরোফথ্যালমিয়া (রাত কানা ও বিটট্স স্পট) দীর্ঘমেয়াদী ডায়রিয়া, হাম ও মারাত্মক অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের দিন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য ৬/৫৯ মাস বয়সী শিশুকে নিকটস্থ ক্যাম্পেইন কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। একটি কথা মনে রাখতে হবেÑ যদি কোনো শিশু গত ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে থাকে তবে সে শিশুকে ক্যাম্পেইনে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
আগামীকাল শনিবার থেকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ওইদিন সকাল ৮টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলবে। জেলায় মোট স্থায়ী এবং অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ২,২০০৮টি। এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা যেমন (বাস টার্মিনাল, ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট) ৩৬ টিকাকেন্দ্রে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার সরকারি এবং বেসরকারি ৪,৬৯৪জন কর্মী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে সেবা প্রদান করবেন। এই কার্যক্রমকে সফলের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েঠে। আমরা আশা করি ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সকলের প্রচেষ্টায় সফল ও সার্থক হবে।