1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

শীতলপাটি শিল্প রক্ষায় উদ্যোগী হতে হবে

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭

বাংলাদেশ শিল্পের এক বিশাল জাদুঘর। বহু শিল্প উৎপত্তি ও বিকাশ লাভ করেছে এই ব-দ্বীপ সোনার বাংলা থেকে। মৃৎশিল্প, হস্তশিল্প, বেত, জামদানি, মসলিনসহ আরো অনেক কিছু। এ দেশ যেন শিল্প ও শিল্পী তৈরির উর্বর ভূমি। ঠিক তেমনি সিলেটের শীতল পাটিও বাংলাদেশের এক সৌষ্ঠবপূর্ণ শিল্প। সিলেটের এ শীতলপাটি এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।
ইউনেসকোর স্বীকৃতির ঘোষণাটি এমন সময়ে এলো যখন যথাযথ উদ্যোগ, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব আর অবহেলায় ঐতিহ্যের শীতলপাটি হারিয়ে যাওয়ার পথে। তবে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি অর্জনের পাশাপাশি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে শীতলপাটির সুদিন ফিরে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল দৈনিক সুনামকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়Ñ দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের ১১০ ঘরের রামেশ্বরপুর গ্রামের সবারই একমাত্র পিতৃপ্রদত্ত পেশা পাটিবোনা। কয়েক’শ বছর ধরে তারা শীতলপাটি, জামদানি, শাদাপাটি, চিকন পাটি, রঙিন পাটি বুনেই সংসার চালাচ্ছে। পুরুষরা বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে মুর্তা সংগ্রহ করে বাড়িতে এনে সেগুলো বেত করে নারীদেরকে দেন। নারীরা সেই পাটি তৈরি করেন। পরে পুরুষরা বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন। এভাবেই চলছে এ গ্রামের পাটিশিল্পের ব্যবসা ও টিকে থাকার সংগ্রাম। বর্তমানে অভাবের কারণে মূলধন না থাকা ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তারা কোন মতে এই পেশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করলেও কেউ সহায়তার হাত নিয়ে পাশে দাঁড়ায়নি। কালের পরিক্রমায় এই পেশায় জড়িতদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন সামগ্রীর বাজার দখলের কারণে সংকুচিত হয়ে পড়েছে শীতলপাটির বিক্রয় ও বিপণন। প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে অনেকেই বাধ্য হয়ে এ পেশা ছেড়ে দিয়েছে। যারা টিকে আছে তারা অর্থাভাবকে সঙ্গী করেই টিকে আছে।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এই শিল্পের ভবিষ্যৎ হয়ে পড়েছে এখন অনিশ্চিত। আমরা মনে করি এই পেশায় জড়িতদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ, সহজ শর্তে ঋণদান এবং সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করলে শীতলপাটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে ব্যাপক অবদান রাখবে। একই সঙ্গে শীতলপাটি রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও দেশীয় ঐতিহ্যের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com