গত ১৭ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর ভারতের স্মার্টসিটি হিসেব পরিচিত ওড়িষ্যার রাজধানী ভুবনেশ্বরে প্রথম দক্ষিণ এশীয় যুব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সার্কভুক্ত সকল দেশসহ (পাকিস্তান ব্যতীত) মোট ৬১ দেশের প্রায় ২৫০ জন যুবনেতা অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যুব ও ক্রীড়াপ্রতিমন্ত্রী, সচিব ও ১০ জন যুবনেতা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, সচিব, কূটনৈতিক, নোবেল বিজয়ী, জাতিসংঘের পদস্থ কর্মকর্তাসহ অনেকেই অংশগ্রহণ করেন।
সেই সম্মেলনে যোগদান করতে গিয়ে আয়োজকদের পক্ষ হতে জানতে পারি, বাংলাদেশ থেকে মাত্র ১০ জন তরুণ এই সম্মেলনের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সমাজসেবামূলক কাজে অবদান রেখে চলছেন এবং অনেকে সম্মেলনে যোগদানের জন্য ব্যক্তিগতভাবে আবেদন করেন। যার ফলে দেখা গেল নির্বাচিত এই ১০ জনের কেউই কাউকে চিনি না। শুরু হলো খোঁজ। বহু কষ্টে ফেসবুক থেকে ৯ জনের খোঁজ মিলল। সবাই একসাথে যাওয়ার লক্ষ্যে ৮ জন মিলে বেনাপোল হয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করলাম। ভ্রমণের দিন ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল। ১৫ তারিখে আমি গিয়ে বেনাপোলে থাকলাম। ১৬ তারিখ সকালে বেনাপোলে সবাই এক হয়ে ভারত যাওয়ার কথা। যথারীতি সকাল সকাল গিয়ে বেনাপোল বর্ডারে হাজির হলাম। যাওয়ার কথা ৮ জন কিন্তু গিয়ে দেখি আমি, ইদ্রিস ভাই ও রেজা ভাই, আমরা মাত্র ৩ জন। বাংলাদেশে বিশেষ অনুমতি থাকায় খুব সহজেই আমরা দেশের ইমিগ্রেশন পার করলাম। ইমিগ্রেশনে গিয়ে পেলাম শেখ ভাইকে। এবার ভারতের ইমিগ্রেশন পার হওয়ার পালা। সবাই গিয়ে এক লাইনে দাঁড়ালাম। ইদ্রিস ভাই সহজেই পার হয়ে গেলেন। এবার শেখ ভাইকে ইমিগ্রেশনে কিছু প্রশ্ন করল। উনি অতিআত্মবিশ্বাসের কারণে প্যাঁচ লাগিয়ে দিলেন। আমাদের সবার ট্যুরিস্ট ভিসা কিন্তু যাচ্ছি কনফারেন্সে। কনফারেন্সের জন্য আলাদা ভিসা নিতে হয়। শেখ ভাইকে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা বলল, আপনি ও আপনার সাথে যারা আছেন তারা পাশের রুমে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেন। ওই রুমে অন্য এক কর্মকর্তা বললেন, স্যার এখন অফিসেই আছে স্নান করছেন। স্নান শেষে নাস্তা করে তিনি আসবেন, অপেক্ষা করুন। সময় তখন ১০টা ৫ বাজে, অর্থাৎ ইতোমধ্যে এক ঘণ্টার বেশি অফিস আওয়ার শেষ। আমাদের এক ঘণ্টা বসিয়ে রেখে ১১টার দিকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে হাজির। এসে নিয়ম-কানুন দেখিয়ে বললেন যাওয়া যাবে না। আপনারা একটু বসুন, আমি দেখি কি করা যায়। আমরা বসতে বসতেই আবার ডাক দিয়ে একটি কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বললেন, আপনারা আবার লাইনে গিয়ে দাঁড়ান। আর এই কাগজটি শুধু হাতে রাখবেন। আমরা লাইনে গিয়ে দাঁড়ালাম ও সহজেই পার হলাম। ভারতে প্রবেশমুখে আবারো সেই কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা। তিনি বললেন, আপনারা তাড়াতাড়ি যান। আপনারা ইমিগ্রেশন পার হচ্ছেন আমি কিন্তু দেখিনি। আপনাদের সাথে আমার কথা হয়নি। আপনাদের আমি চিনি না! পরে ধন্যবাদ দিয়ে আমরা চলে আসলাম।
ভারতে ঢুকে ইদ্রিস ভাই ও রেজা ভাই ভারতের মোবাইল সিম নিলেন। এই সিম পশ্চিম বঙ্গে কাজে দিবে। আমরা যেহেতু ওড়িষ্যা যাব, আর তখন বাংলাদেশের সিম ভালভাবে কাজ করায় আমি আর শেখ ভাই সিম নিলাম না। ভারতে আবার এক রাজ্যের সিম অন্য রাজ্যে চলে না, খরচ অনেক বেশি।
বনগাঁ থেকে ট্রেনে শিয়ালদহ যাব। ট্রেন প্লাটফর্মে চলে আসছে, ইদ্রিস ভাই ও রেজা ভাই ট্রেনে বসলেন। আমি আর শেখ ভাই ট্রেনের টিকিট কাটতে গেছি। ২০ টাকার ৪টা টিকিট নিতে ৫০০ রুপি দিলাম। ওই দিকে ট্রেন ছেড়ে দিবে। খুব ধীরে সুস্থে ১০০ টাকা বেশি রেখে ৩২০ টাকা কাউন্টার থেকে ফেরত দিল। টাকা হাতে নিয়ে দেখি ১০০ কম, বাকি ১০০ ফেরত নিতে নিতে ট্রেন প্লাটফর্ম ছেড়ে চলে গেছে। যাদের কাছে সিম আছে তারা ট্রেনে বিনাটিকেটে ভ্রমণ করছে। তাদের সাথে স¤পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ। আমরা স্টেশনে এক ঘণ্টা পরের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। চারজন থেকে এবার ২ জন। ট্রেনে উঠলাম, ২ জনের সিটে ৫ জন করে বসতে হয়। ছোট্ট এক বগিতে একজনের উপর আরেকজন মিলে ৫০/৬০ জনের মতো মানুষ সাথে হকার। এর মধ্যে রোগা-হ্যাংলা হকার এসে সুকৌশলে নানা রকমের পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্য ভালো রাখার পণ্যসামগ্রী বিক্রি করে গেল। ২০ টাকায় ৩ ঘণ্টার ট্রেন জার্নি করে শিয়ালদহ নামলাম। নেমে হারিয়ে যাওয়া জনকে স্টেশনে পেয়ে গেলাম। রাতের ভুবনেশ্বরের ট্রেনের টিকিট নিতে সেখান থেকে তাড়াতাড়ি হাওড়ার ট্রেন স্টেশনে গেলাম। গিয়ে প্রথম শ্রেণির ট্রেনের টিকেট চাইলাম। কিন্তু কিছু না বলেই আমাদের হাতে ২য় শ্রেণির টিকিট ধরিয়ে দেয়া হল। টাকা লস দিয়ে এবার বিদেশি কোটাতে প্রথম শ্রেণির পাঁচটা টিকিট নিলাম। এর মধ্যে স্টেশনে বাংলাদেশের আরেক প্রতিনিধি আনন্দ এসে হাজির আমাদের সাথে যাওয়ার জন্য। বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর আনন্দ চারদিকে ব্যাপক প্রচারণা চালায়। এসে আমাদের পাসপোর্ট হাতে নিয়ে বলে, আপনারা পাসপোর্টে ইমিগ্রেশনের সিল নিয়ে পার হইছেন। আর আমি ভিআইপি এর মতো সিল না লাগিয়েই ইমিগ্রেশন পার হয়ে আসছি! শুনে আমরা তো অবাক, তাড়াতাড়ি করে তাকে সব বুঝিয়ে শেখ ভাইকে সঙ্গে দিয়ে বর্ডারে ইমিগ্রেশনে পাঠাই। তার সফর এখানেই শেষ।
সারাদিন অভুক্ত, ভালো মানের কোন খাবার হোটেলই খুঁজে পেলাম না কলকাতায়। পরে ভাগ্যক্রমে কেএফসি পেয়ে প্রাণ বাঁচে। পাঁচ জনের টিকিটে আমরা ৩ জন কলকাতা থেকে ভুবনেশ্বর যাই। আয়োজকদের পক্ষ হতে আমাদের জন্য থ্রি স্টার জিনজার হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। ১৭ তারিখ সন্ধ্যায় মে-ফেয়ার কনভেনশন সেন্টারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও গালা ডিনারের ব্যবস্থা করা হয়।
পরদিন সম্মেলন সকালে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও হোটেলের সামনেই গোলমাল শুরু হয়। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সরকারি দল ধর্মঘটের ডাক দেয়। রাস্তা অবরোধ করে জ্বালাও পোড়াও চলছে।
দুপুরে বিশেষ প্রহরায় আমাদের স্বস্তি প্রিমিয়াম হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সাথে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। তাতে আমার আলোচ্য বিষয় ছিল, জাতিসংঘের টেকসই শিক্ষা ব্যবস্থা অর্জনে যুব সমাজের ভূমিকা ও উদ্যোক্তাদের করণীয়। সেই সাথে এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরি।
দিনের কার্যক্রম শেষে আমাদের পরবর্তী গন্তব্য, হাই-টেক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। সেখানে যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষা করতে করতে আমরা বাংলাদেশিরা মিলে বিভিন্ন বাংলা গান গাওয়া শুরু করি। এতে ধীরে ধীরে বিদেশিরা এসেও যোগ দেয়। এর আগে যেখানে সবাই আলাদা আলাদাভাবে ঘুরে বেড়াতো এরপর থেকেই সবাই সবার সঙ্গে এক হয়ে চলা শুরু। বাসে শুরু হল যার যার ভাষায় গানের আয়োজন। একে একে বাংলা, হিন্দি, তামিল, মান্দারিন, আফগানসহ বিভিন্ন ভাষার গান।
হাই-টেক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সমাবর্তনে আমরা যোগ দেই। সমাবর্তন শেষে ডিনারের জন্য অপেক্ষা করছি। এর মধ্যে মাইকে কয়েকজনের নাম ঘোষণা করা হয়, হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার নামও ঘোষণা করা হয়েছে।
টেকসই শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনে ও তরুণ সমাজের উন্নয়নে কাজ করার নিমিত্তে ভারতের হাই-টেক মেডিক্যাল কলেজ ও হসপিটাল হতে আমাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননা তুলে দেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. রাজেন্দ্র সিন্ধে (আইপিসিসি-এর প্রধান লেখক, ২০০৭) ও ড. তিরুপাতি পানিগ্রাহি (চেয়ারম্যান, হাই-টেক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল)।
তৃতীয় দিন ছিল সবাই মিলে ভারতের বিখ্যাত স্থান সমূহ পরিদর্শন। ভুবনেশ্বর থেকে আমরা পুরী এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই। যাত্রীনিবাস নামক এক রিসোর্টে লাঞ্চ করি। পরে আমাদের বিখ্যাত কোনার্ক স্বর্ণ সূর্য মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পুরী বিচে সময় কাটিয়ে ভুবনেশ্বরে বার-বি-কিউ নেশনে ডিনার পার্টিতে সবাই যোগ দেই।
সম্মেলনের চতুর্থ ও শেষদিন, আলোচনা ও বিভিন্ন কার্যক্রমের পর ছিল পুরস্কার বিতরণী। এই যুব সম্মেলনে বাংলাদেশ দুটি সম্মানজনক পুরস্কার লাভ করে। সেরা মন্ত্রী ও সেরা ¯িপকারের পুরস্কার বাংলাদেশ পায়।
মঞ্চে আমরা পুরস্কার গ্রহণ করার সময় আমাদের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। তখন পুরো হলভর্তি সবাই দাঁড়িয়ে আমাদের সাথে সুর মেলায়, আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি… যা জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত।
সম্মেলন শেষে আবার কলকাতায় ফিরে আসি। দুইজন একই সাথে ট্রেনের টিকিট কাটলেও দুইজনকে দুই ট্রেনে দেয়। একা একাই ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতা আসতে গিয়ে ট্রেনে দুই বাঙালি পরিবার পেয়ে যাই। লোকমুখে শুনতাম, কলকাতার অনেক বাঙালি বাংলাদেশীদের সহ্য করতে পারে না, কিন্তু তা সত্য নয়। ট্রেনে বাঙালি পরিবারগুলো আমার সাথে খুব ভালো ব্যবহার করে। যার জন্য ভালো একটা ভ্রমণ হয়।
কলকাতায় এসে জাদুঘর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, চারটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করি। তবে কিছু ভিন্নধর্মী ও বিখ্যাত স্থানে যাওয়ার সুভাগ্য হয়। মান্না দে’র বিখ্যাত “কফি হাউসের” গানের সেই ইন্ডিয়ান কফি হাউসে যাই। তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ সবার পদচারণায় মুখর সেই কফি হাউস। বিশেষ করে সিনিয়র সিটিজেনদের মধ্যে এক আলাদা উচ্ছ্বাস দেখা যায়। সেখানে কফি ও নাস্তা খেয়ে আমরা কল্পতরু পান ভা-ারে গিয়ে “মন মাতোয়ারা” পান খাই। কল্পতরু পান ভা-ারের সুনাম সারা ভারতজুড়ে বিস্তৃত। তার থেকে একটু সামনে গিয়েই বিখ্যাত প্যারামাউন্টে (শরবৎ প্রতিষ্ঠান) গিয়ে ডাবের শরবত খাই। ৯৯ বছর বয়সী এই প্যারমাউন্টে নেতাজী সুভাস বসু, অমর্ত্য সেন, সৌরভ গাঙ্গুলী থেকে শুরু করে ভারতের বিখ্যাত সব বাঙালিরা ক্রেতা হিসেবে ছিলেন। তাদের বিখ্যাত সব ক্রেতার নাম দোকানে লিপিবদ্ধ করে রাখা আছে। বিল দেওয়ার সময় দোকানের মালিক আগামী বছর প্যারামাউন্ট-এর ১০০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমাদের আমন্ত্রণ জানান।
লোকমুখে শোনা ভারত ও বাস্তবের ভারতের মধ্যে অনেক ফারাক পেলাম। সাহায্যকারী (দালালে) ভরপুর ভারতে দুই রাজ্য ভ্রমণে কোথাও ট্রেনের টিকিট চেক করেনি। অধিকাংশ লোক প্রয়োজনের বেশি একটা প্রশ্ন করলেই তারা সবার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। দোকানে কোন পণ্যের দাম জিজ্ঞেস করলেই (বিদেশি বুঝলেই) ৩০ রুপির পণ্য ৩৫ রুপি হয়ে যায়। মাটির কাপের চা যেমন দারুণ তেমনি সিরাপের কাপে করে অধিকাংশ জায়গায় মানুষের চা পান করা দেখাটাও দারুণ। যদিও কেএফসি, পিৎজা হাটের মতো ব্র্যান্ড ছাড়া বাকি খাবারের স্বাদ এমনই মজা যে, ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় আমাদের এগারো বার বুফে খাওয়ার সুভাগ্য হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খাবার অবশিষ্ট থাকতো।
এছাড়াও কলকাতায় সেই প্রাচীনকালের অমানবিক বাহন হাতে টানা রিকশা এখনো চলে। পুরো ভারত সফরে বাংলাদেশের কোন স্মৃতিচিহ্ন পেলাম না। এমনকি রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাদুঘরেও বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য কিছু চোখে পড়েনি। ইন্ডিয়ান কফি হাউসের সামনের ফুটপাতে শুধু হুমায়ূন আহমেদের একটি বইই ছিল বাংলাদেশের একমাত্র সামগ্রী। কলকাতার রাস্তা ঘাট অনেক ছোট, ঘিঞ্জি এলাকা, মানুষজন বেশি হলেও তাদের তেমন কোন ট্রাফিক জ্যাম হয় না, মূলত সবার মধ্যে আইন মানার প্রবণতা থাকায়।
২৩ তারিখে ফেরার পথে ইমিগ্রেশনে গরমের মধ্যে পাচ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে দেশে ঢোকার মুখে আবার ভারতীয় পুলিশের ঘুষের আবদার মিটাতেই শুরু হলো দালালদের উৎপাত। সবাইকে খুশি করে, প্রতিজ্ঞা করলাম এভাবে আর না…। এমন অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেরার দুইদিন পর পাঞ্জাবের দেশ ভগত বিশ্ববিদ্যালয়ে আরেকটি সম্মেলনে ফুল স্পন্সরশিপ পেয়েও আর যাওয়া হয়ে উঠেনি। এই লেখা শেষ হতে না হতেই ভারতীয় দূতাবাস থেকে ফোন, ভারতীয় সরকারের বিশেষ অতিথি হয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার জন্যে।