বাঁধ ভেঙে ফসল, হাঁস-মাছ হারিয়ে নিঃস্ব হাওর অঞ্চলের কৃষক ঘুরে দাঁড়ানোর অবিরত চেষ্টা করছেন। এক্ষেত্রে কৃষিঋণ অবশ্যই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু এই কৃষিঋণ সহজীকরণ হচ্ছে না।
একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, সুনামগঞ্জের প্রান্তিক কৃষক আজ দুর্দশাগ্রস্ত। অভাব-অনটনের এমন দিনে আগের কৃষিঋণ পরিশোধ করতে না পারায় নতুন কৃষিঋণ পাওয়া নিয়ে কৃষকদের হতাশা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় বোরো আবাদের ক্ষেত্রে পুরনো ঋণ পরিশোধ না করেই কেবলমাত্র সুনামগঞ্জ জেলায় কৃষকদেরকে নতুন ও সহজ কৃষিঋণ প্রদানে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেছে হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন। তাদের এই দাবি অত্যন্ত সময় উপযোগী।
আমরা মনেকরি, এমন সংকটময় মুহূর্তে কৃষকের ঋণ পরিশোধের বিষয়টি মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করা উচিত। নিঃস্ব মানুষগুলোর দিকে তাকিয়ে এই ঋণ মওকুফ করা যেতে পারে। এমনকি এনজিওদের ক্ষুদ্রঋণও মওকুফ করা যেতে পারে। পাশাপাশি মহাজনদের দাদনের বিষয়টি নজরে রাখা দরকার। কৃষিঋণ সহজীকরণের ব্যাপারে সরকারকে দ্রুত এগিয়ে আসতে হবে। ক্ষুদ্রঋণদাতা এনজিওগুলোরও একইভাবে এগিয়ে আসা উচিত।