স্টাফ রিপোর্টার ::
সদর উপজেলার পর সমঝোতার মাধ্যমে সুনামগঞ্জ পৌর যুবলীগের কমিটিও গঠন হয়েছে। কমিটিতে জেলা কমিটির আহ্বায়ক খায়রুল চপলের অনুসারীদের এবারও স্থান বেশি হয়েছে। জেলা যুবলীগের সাবেক সাবেক আহ্বায়ক ও বর্তমান জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমনের বেশ কয়েকজন অনুসারী এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন। তাঁর অনুসারী যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে কারো এই কমিটিতে জায়গা হয়নি।
পৌর কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন কাউন্সিলর মো. আবাবীল নূর। যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে দীপ্ত তালুকদার টিটু ও দেবাশীষ দাসগুপ্ত বাপ্পীকে। আহ্বায়ক ও দুই যুগ্ম আহ্বায়ক তিন জনই খায়রুল হুদা চপলের অনুসারী। কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে ৪৩ জনকে।
ব্যারিস্টার ইমন অনুসারীদের মধ্যে সদস্য হিসেবে আশরাফ হোসেন চৌধুরী তাহা, নজরুল ইসলাম, এমএ আরমান অপি, জাবেদ আহমদ, মশিউর রহমান শুভ, সাদ্দাম হোসেন সৌরভ, আলী আহমদহ বেশ কয়েকজন স্থান পেয়েছেন। তবে ব্যারিস্টার ইমন-এর বলয় থেকে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে জেলা কমিটির কাছে নাম দেয়া হলেও অনুমোদিত কমিটিতে তাঁদের জায়গা হয়নি। স্থান পাওয়া ইমন বলয়ের অনুসারীদের প্রায় সবাই আগের পৌর কমিটিতে ছিলেন। এছাড়া নতুন পৌর কমিটিতে স্থান পাওয়া প্রায় সবাই আগে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
কমিটির সদস্যরা হলেন সৈয়দ গোলাম জিলানী ইমন, রাসেল আহমদ, মো. হাসানুজ্জামান, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. জাহাঙ্গীর আহমদ, দ্বিদারুল বাশার অপু, ফয়সল বখ্ত, মো. রাজেদ, আহ্সানুল ইসলাম হাসান, আবু বক্কর সিদ্দিক আনাছ, দীপক সরকার, অ্যাড. গোলাম কবির সুমন, রাহুল দে পাপলু, সুমন দাস, বিজন কান্তি দেব বিল্টু, আকমল নূর আকমল, মুস্তারিদ আলী রাহাদ, আশরাফ হুসেন চৌধুরী তাহা, নজরুল ইসলাম, এম এ আরমান অপি, জাবেদ আহমদ, দ্বিগ¦ীজয় চৌধুরী, শের আলী, মুশিউর রহমান শুভ, মো. মোহির উদ্দিন, মো. সোহেল বখ্ত, অ্যাড. অনুপ কুমার ধর, দুলাল রায়, গোপাল তালুকদার, সাদ্দাম হোসেন সৌরভ, জলিল মিয়া, হাজী সাদিকুর, মো. আলী আহমদ, মো. জগলু মিয়া, সৈয়দ বুরহান উদ্দিন, মো. জালাল উদ্দিন, মো. আইয়ুবুর রহমান, নোমানুল ইসলাম নোমান, শাহ্ নেওয়াজ, হিরক দাস, রুহুল হুদা কনক, আক্তার হোসেন, মাহবুবুর রশীদ আজাদ, সুকান্ত রায়, পার্থ চৌধুরী, দেবাশীষ তালুকদার রিন্টু, বিপুল ভট্টাচার্য, তাজুল ইসলাম।
পৌর কমিটি অনুমোদন করেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল ও যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার মঞ্জুর আহমদ। কমিটি ৯০ দিনের জন্য অনুমোদন দেয়া হয় এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পৌরসভার আওতাধীন সকল ওয়ার্ডে সম্মেলন করার জন্য বলা হয়।