নদী হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এই সম্পদকে কাজে লাগাতে পারলেই দেশের উন্নয়ন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। যে দেশের নদীপথের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো সে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যও হয়ে ওঠে তত উন্নত। আমাদের দেশ নদীমাতৃক দেশ। যার ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে নদীর গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু আমাদের দেশে নদী যেন দখলবাজদের স¤পত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ক্ষমতা আছে সে-ই নদীর ওপর অত্যাচার চালানোর অধিকার ফলায়। জালের মতো সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য খর¯্রােতা নদী আজ জীর্ণ-শীর্ণ অথবা মরণাপন্ন অবস্থায় উপনীত হয়েছে। অনেক নদী মানচিত্র থেকে ইতিমধ্যে হারিয়ে গেছে। এজন্য দায়ী কিছু মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কর্মকা- ও অদূরদর্শিতা। দেশের নদ-নদীগুলোকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে দেশে নদীর সীমানা পিলার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়Ñ গত বুধবার সচিবালয়ে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে নদীর দূষণ রোধ ও নাব্যতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ৩৬তম সভায় নদী দখল করে গড়ে তোলা বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে অন্য জায়গায় জমি দেওয়ার পাশাপাশি নদী দখল ঠেকাতে জরিপ চালিয়ে সারা দেশে নদীর সীমানা পিলার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
নদী দখলের প্রক্রিয়া সারাদেশে প্রায় একই গতিতে চলছে। দূষণ ও দখলের এ উৎসব বন্ধে সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হলে দেশব্যাপী জালের মতো বিস্তৃত প্রতিটি নদী এক সময় মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে। তাই নদী রক্ষার্থে সংশ্লিষ্টদের আরো আন্তরিক হতে হবে। দখল ও দূষণ প্রক্রিয়া রোধে কঠোর হতে হবে।