ভূমি বেদখল হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশে অতীত থেকেই ঘটে চলছে। দেশে জমি, জলা, জঙ্গলের সাথে মানুষের স¤পর্কের সমীকরণে বড় বিচ্যুতি আছে। কিন্তু সরকারি জমি কেউ বেআইনিভাবে দখল করবে, এটা তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়Ñ ছাতক উপজেলার জাউয়া বাজারে নৌকাঘাট দখল করে সড়ক ও জনপথের ভূমিতে দোকান কোঠা নির্মাণ করা হয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল নৌকাঘাট ও সওজ’র ভূমি থেকে এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে সওজ সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী লিখিত অভিযোগ দিলে তার প্রেক্ষিতে ছাতক সওজ’র এসডিইকে জরুরি ভিত্তিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু অবাক হওয়ার বিষয় হলোÑ দখলের প্রায় ৭ মাস অতিবাহিত হলেও সংশ্লি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ দখলদারদের উচ্ছেদ করার ব্যবস্থা না নেওয়ায় নৌকা ঘাটে স্বাভাবিক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পাশাপাশি কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মারাত্মক ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
দেশে লক্ষ করা যায় যেÑ এসব অবৈধ স্থাপনাকে ঘিরে স্থানীয় কোনো কোনো মহলের অর্থ উপার্জনের বিষয়টি বহুল আলোচিত। ফলে এসব অবৈধ স্থাপনার জন্য জনদুর্ভোগ লেগেই থাকে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন হাট-বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে সরকারি ভূমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে দখলদাররা বেচাকেনাসহ মালিকানা প্রতিষ্ঠা করে আসছে। অতীত থেকে চলে আসা এই ধারার অবসান ঘটাতে হলে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে ওঠে সরকার প্রণীত আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। আমরা মনে করিÑ সড়ক ও জনপথের এই স¤পত্তি উদ্ধারের বিষয়টিকেই সর্বাধিক গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। অবৈধ স্থাপন উচ্ছেদে ছাতক সওজ’র এসডিই’র ব্যর্থতার কারণগুলো শনাক্ত করে সমাধানের নতুন পথ বের করে সরকারি ভূমি দখলমুক্ত করতে হবে।