মাহমুদুর রহমান তারেক ::
সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে গুপ্তহত্যা, চোরাগুপ্তা হামলার ঘটনা ঘটছে। এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঠেকাতে যখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হিমশিম খাচ্ছে ঠিক তখনই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে জঙ্গি সংগঠন। ওইসব ঘটনার তদন্ত নিয়ে এখনো পুরোদমে ব্যস্ত সময় কাটছে পুলিশ বাহিনীর। এমন পরিস্থিতিতে সুনামগঞ্জের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং স্পটকে সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরার আওতায় আনতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। সম্প্রতি জেলা আইনশৃঙ্খলার কমিটির সভায় সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়ে আলোচনাও হয়েছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নূরুল ইসলাম বজলু বলেন, দেশে এখন যে অবস্থা বিরাজ করছে তাতে জনবহুল প্রতিটি স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির আধুনিকায়নে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন সময়ের দাবি বলে মনে করেন তিনি। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দেশের বড় বড় ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে সিসি ক্যামেরার ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুনামগঞ্জেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শহরের আলফাত স্কয়ার, হোসেন বখত চত্বর, ওয়েজখালি, পুরাতন বাসস্টেশন, থানা রোড, ষোলঘর, বাস টার্মিনাল, আদালত চত্বরসহ সরকারি, বেসরকারি অফিস ও স্থাপনাগুলোকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা প্রয়োজন।
ছাত্রনেতা হাবিব আল হাসান ছিদ্দীক তপু বলেন, ‘জঙ্গিবাদ দমন যেমন আমাদের সকলের দাবি। তেমনি প্রত্যেকটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও জানাই। তাই জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে এবং অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করতে দেশের অন্যান্য জেলার মতো সুনামগঞ্জের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, জনবহুল এলাকাসহ অধিকতর অপরাধপ্রবণ স্পটগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনা করা দরকার।’
শহরের ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র হোসেন আহমদ রাসেল বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ের গুপ্তহত্যা, চোরাগুপ্তা হামলাসহ নানা ঘটনায় সারাদেশের মতো আমাদের শহরের মানুষও আতঙ্কিত। সাধারণ জনগণের নির্বিঘেœ চলাফেরায় এখন সিসি ক্যামেরাই ভরসা। তাই শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেকটি স্পটে সিসি ক্যামেরা স্থাপনা করতে হবে। এতে দেশের অন্যান্য এলাকার মতো সুনামগঞ্জেও কোনো বড় ঘটনা সৃষ্টির কোনো সুযোগ পাবে না দুর্বৃত্তরা।
জেলা উদীচী’র সহ-সভাপতি নির্মল ভট্টাচার্য্য বলেন, এখন আতঙ্কের মধ্যে চলাফেরা করতে হয়। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এখন সময়ের দাবি। আশা করছি প্রশাসন এ বিষয়টি বিবেচনা করে দ্রুত উদ্যোগ নেবে।
সাংবাদিক এমরানুল হক চৌধুরী বলেন, প্রতিটি শহরেরই এখন নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা বসনো হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার কারণে অপরাধীরা অপরাধ করেও সহজে ধরা পড়ছে। এটি পুলিশ প্রশাসনের জন্য অপরাধ মূলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ রাখার সহায়ক।
সুনামগঞ্জ সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রশাসন এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখছে।