বিশেষ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জে প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে সদ্য জাতীয়করণকৃত ৪৩২ বিদ্যালয়ে প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হবে। সোমবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করার কথা জানিয়েছে। এলক্ষ্যে আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে শূন্যপদের চেয়ে শিক্ষকের সংখ্যা বেশি থাকায় প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক আপাতত নিয়োগ পাবেনা বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১১ এপ্রিল রেজিস্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকের শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১৩ সালে রেজিস্ট্রার্ড বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ হওয়ার আগে কিছু বিদ্যালয়ে প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া হলেও পরবর্তীতে নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর নিয়োগ বঞ্চিত প্যানেলভুক্তরা আদালতের দ্বারস্থ হলে আদালত তাদের পক্ষে চূড়ান্ত রায় দেয়। এর প্রেক্ষিতেই নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করে মন্ত্রণালয়। তবে শূন্যপদের চেয়ে প্যানেলভুক্ত শিক্ষকের সংখ্যা বেশি থাকায় সবার নিয়োগ প্রাপ্তি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে আপাতত শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হলেও বাকিদের নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ নেই। তবে পদ সৃষ্টি করা হলে পর্যায়ক্রমে তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় সাত শতাধিক প্যানেলভুক্ত শিক্ষক রয়েছেন। এর মধ্যে শূন্যপদ রয়েছে ৪৩২টি। প্রথমে ৪৩২টি পদেই মেধানুসারে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। পদ সৃষ্টি হলে বাকিদের পরবর্তীতে নিয়োগ দেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, সদ্য জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধর্মপাশা উপজেলায় ৮৩টি এবং তাহিরপুর উপজেলায় ৭২টি শূন্যপদ রয়েছে। বাকি উপজেলাগুলোতে কমবেশি শূন্যপদ রয়েছে। সদর উপজেলায় ১০, দোয়ারাবাজারে ২৯, বিশ্বম্ভরপুরে ১৯, ছাতকে ২৯, জামালগঞ্জে ৪৩, শাল্লায় ৪৪, দিরাইয়ে ৪৩, জগন্নাথপুরে ৪২ এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ২১জনের শূন্যপদ রয়েছে। বাস্তবে প্রতিটি উপজেলাতেই শূন্যপদের অর্ধেকেরও বেশি প্যানেলভুক্ত শিক্ষক রয়েছেন। ফলে ৪৩২টি শূন্যপদে নিয়োগ বাদে অন্যরা নিয়োগ পাচ্ছেনা বলে জেলা শিক্ষা অফিস জানিয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. হযরত আলী বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আগামী সপ্তাহ থেকেই চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথমে সুনামগঞ্জ জেলার ৪৩২ বিদ্যালয়ের শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের। পরবর্তীতে পদ সৃষ্টি করে অবশিষ্ট প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদেরও নিয়োগ দেওয়া হবে।