জলমহালে ইজারা পাওয়ার মালিক মৎস্যজীবী এটা হচ্ছে আইন। কিন্তু এই আইনের প্রয়োগ না থাকায় জলমহালের সকল সুবিধাভোগী হচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। তাছাড়া সমবায় সমিতি নিবন্ধনের সময় কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী অসাধু পথ গ্রহণ করাতে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা জলমহাল ইজারা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সমবায় অফিসের অনিয়মের ফলে নেপথ্যে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট সমিতি করে যুগ যুগ ধরে নানা কৌশলে জলমহাল ভোগদখল করে আসছে। এসব কারণে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা জলমহালের মৎস্য আহরণ করতে পারছে না। তাছাড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এ ব্যাপারে কুম্ভকর্ণ হিসেবেই রয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলায় ২০ একরের ঊর্ধ্বে, ২০ একরের কম, উন্মুক্ত ও বদ্ধজলমহাল ১ হাজার ১০৮টি। মৎস্যজীবী সমিতি রয়েছে প্রায় সাড়ে ৬শ’ তবে এইসব সমিতিগুলো আর্থিক অসংগতির কারণে ইজারাকৃত জলমহালগুলো চলে যায় সিন্ডিকেটের হাতে। সমিতিগুলোকে সামান্য লাভ দেখিয়ে তাদের সাথে লিখিত চুক্তি করে নেয় সিন্ডিকেট। প্রকল্পভুক্ত জলমহাগুলো ৬ বছরে দুইবার মৎস্য আহরণ করার আইন থাকলেও প্রতিবছরই মৎস্য আহরণ করা হয়ে থাকে। এমন কি সিন্ডিকেটগুলো জলমহাল তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর মৎস্য আহরণের নীতিমালার উপর বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিলের তলানী শুকিয়ে প্রকৃতি বিনাশ করে প্রকাশ্য মৎস্য আহরণ করে চলছে।
প্রকৃত মৎস্যজীবীদের জলমহাল ইজারা পেতে মৎস্যজীবীদের আর্থিক ঋণ প্রদান, মৎস্য নীতিমালা সঠিকভাবে প্রয়োগ করা এবং মৎস্যজীবীদের নিবন্ধন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারলেই প্রকৃত মৎস্যজীবীরা তাদের ন্যায্য অধিকার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে না।