1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

বাজার মনিটরিং : অভিযানে নামলেন জেলা প্রশাসক : স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৫ জুন, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার ::
বাজারে আচমকা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে খোলা খেজুরসহ ইফতার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীরা যেনো অনেকটাই ‘ধাক্কা’ খেয়েছিলেন। তড়িঘড়ি করে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের যেটুকুই অনিয়ম ছিল লুকিয়ে ফেলার একটা চেষ্টা ছিল তাদের। কিন্তু যেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক স্বয়ং জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম সেখানে সে কাজটাও যেন ছিল কষ্টসাধ্য। লুকিয়ে ফেলার সময় কোথায়? একসাথে এ অভিযানে ছিলেন জেলা প্রশাসনের আরো তিন কর্মকর্তা। পাশাপাশি মার্কেটিং অফিসার, ক্যাব সভাপতি ও ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি ছাড়াও ছিলেন সচেতন সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শহরের আলফাত স্কয়ার থেকে শুরু করে ফল বাজার, পূর্ব বাজার, মধ্যবাজার ও পশ্চিম বাজারের বিভিন্ন দোকানে একত্রে পর্যায়ক্রমে অভিযানটি পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর এতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইফতার সামগ্রী ও খোলা খেজুর রাখায় জরিমানা করা হয় ৬ ব্যবসায়ীকে। জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ খোলা খেজুর। সবগুলো ফল বিক্রেতা দোকান থেকে এসব খেজুর জব্দ করে একটি পিকআপ ভ্যান ভর্তি করা হয়। পরে এগুলো ধ্বংস করা হয়।
ফলবাজার ছাড়াও সড়কের উপর মালামাল রাখার কারণে জরিমানা করা হয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর এক ব্যবসায়ীকে। সব মিলিয়ে ৭ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সাড়ে ১১হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরমধ্যে ফল ব্যবসায়ী রকিব আলীকে এক হাজার টাকা, ইনার আলীকে এক হাজার টাকা, কয়েসকে এক হাজার টাকা, জাহেদ মিয়াকে এক হাজার টাকা, জাকেরকে এক হাজার টাকা, আদইকে ৫শত টাকা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রেতা মহেশ্বর পালকে ৫হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা ও দন্ডবিধির ২৯১ ধারায় এসব অর্থদন্ডাদেশ প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ বিশেষ অভিযানে বাজার মনিটরিং করা হয়। পাশাপাশি সড়কের উপর ব্যবসায়ীদের দোকানের মালামাল না রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে কারো দোকানের সামনের সড়কের উপর মালামাল রাখা হলে প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে ৫০হাজার টাকা করে জরিমানা করা হবে বলেও জানিয়ে দেয়া হয়।
এ অভিযানে জেলা প্রশাসকের সাথে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, এনডিসি সৈয়দ ফয়জুল ইসলাম, সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স¤্রাট খীসা, মার্কেটিং অফিসার আব্দুল খালেক, ক্যাব সভাপতি এখলাসুর রহমান, সদর ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ, জেলা প্রশাসনের ব্যাংক সহকারি জহিরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রদীপ পাল নিতাই, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব জিএম তাশহিজসহ গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীবৃন্দ।
এ অভিযানকে স্বাগত জানান শহরের সাধারণ শ্রেণিপেশার মানুষ। শহরের আলীপাড়া এলাকার জুবায়ের আহমদ বলেন, ‘আমরা টাকা দিয়ে যে খাবার কিনি তা কতোটা স্বাস্থ্যসম্মত তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। ব্যবসায়ীরা খোলা বাজারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসব খাবার বিক্রি করে। স্বল্প আয়ের মানুষ তা কিনে নিয়ে যায়, আর এসব খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়। খাবার ঢেকে না রেখে এরা মাছিদের ডিম পাড়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়। জেলা প্রশাসক নিজেই ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে নেমে পড়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগছে। আমরা চাই প্রশাসন জনগণের কথা ভেবে নিয়মিত এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করুক। আমরা এ অভিযানকে স্বাগত জানাই।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com