বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংস¤পূর্ণ হয়ে ওঠার পেছনে যাদের অবদান অনস্বীকার্য সেই কৃষকদের ললাটজুড়ে আজ দুশ্চিন্তার ভাঁজ। তাদের আর্তনাদ-আহাজারি শুরু হয়েছে হঠাৎ করে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে তাদের সর্বস্ব গেছে। এ প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাদের বিপন্ন-বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এবারের বন্যা, পাহাড়ি ঢল তাদের অনেক ভুগিয়েছে, ভোগান্তির এখনো অবসান হয়নি। আরেক ফসল না ওঠা পর্যন্ত এ ভোগান্তি থাকবে।
গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এমপির বক্তব্য থেকে জানা যায়Ñ দেশের চালিকা শক্তি কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার কাজ করছেন। কৃষকদের বিনামূল্যে সার বীজ প্রদান ও প্রত্যেক কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে এক হাজার টাকা করে প্রদান করেছেন। শেখ হাসিনা কৃষকদের দুঃখ-দুর্দশা দেখতে শাল্লা এসেছিলেন। রাষ্ট্রপতিসহ সরকারের মন্ত্রীরাও সুনামগঞ্জে এসেছিলেন। সরকার কৃষকদের এতো ভালবাসেন বলেই ফসলহারা কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার-বীজ ও নগদ অর্থ বিতরণ করছেন। কৃষকদের আগাম ফসল উঠানোর জন্য ২৮ ও ২৯ বীজ ধান কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বোরো ফসল গোলায় না ওঠা পর্যন্ত কৃষকদের জন্য সহায়তা অব্যাহত রাখবেন।’ আমরা মনে করি প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি’র এমন বক্তব্যে এ অঞ্চলের হতাশাগ্রস্ত কৃষকদের মনে নতুন করে স্বপ্ন দেখার আশা জাগায়।
আমরা মনে করিÑ বোরো ফসল না ওঠা পর্যন্ত সহায়তার পাশাপাশি হাওরবাসীর জীবনব্যবস্থা ও হাওররক্ষা বাঁধ নিয়ে হেলাফেলা বন্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের দায়িত্বশীল মহলের উদাসীন থাকার কোনোই অবকাশ নেই। শুধু আগামী বোরো ফসল না ওঠা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তাই নয়, তাঁদের মেরুদ- সোজা করে দাঁড়ানোর সকল ব্যবস্থাও সরকারকেই করতে হবে। কৃষি ও কৃষকের কল্যাণের ব্যাপারে যতটা কথা হচ্ছে, আমরা তাদের উন্নয়নে ততোটা বাস্তবায়ন দেখতে চাই।