নানা কারণে হাওরের প্রকৃতি, পরিবেশ ও সম্পদ হুমকির মুখে। ঢলের সঙ্গে আসা বালুতে ভরাট হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। নানা জলজ উদ্ভিদ, প্রাণি ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে। এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে কৃষি ও পরিবেশে। প্রায় ৪২ প্রজাতির উদ্ভিদ বিলুপ্তির পথে বলে জানিয়েছেন হাওরের উদ্ভিদ নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন ও উদ্ভিদবিদরা। সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণে বাড়তি দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
আমরা জানি, হাওরের প্রকৃতি-পরিবেশ-জীববৈচিত্র্য-পেশা-সংস্কৃতি দেশের অন্য অঞ্চল থেকে ভিন্নতর। তাই এখানকার সমস্যাগুলো অন্য অঞ্চল থেকে আলাদা। সেজন্য ভিন্ন পরিকল্পনা নেয়া আবশ্যক। হাওরের উদ্ভিদ প্রজাতি, জলজ প্রাণিগুলো বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে সরকারি উদ্যোগে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে জলাভূমি সংরক্ষণের কাজ চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে হাওর উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।
ইতোমধ্যে আমরা দেখতে পাচ্ছি, জলবায়ু পরিবর্তনেরও প্রভাব পড়ছে হাওরাঞ্চলে। সেটি মোকাবেলায় সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা দরকার। জনসচেতনতা বাড়িয়ে মানবসৃষ্ট ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। এক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদফতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বিস্তৃত হাওরাঞ্চল সঠিক পরিকল্পনার আওতায় হয়ে উঠতে পারে মাছ চাষ, মাছ রফতানি ও হাজার হাজার বেকারের কর্মসংস্থানের পথ। হাওরাঞ্চলে পর্যটনকেন্দ্রও গড়ে উঠতে পারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আওতায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী হাওরকে সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে বিশেষত কৃষির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা সম্ভব। তবে তা হতে হবে অবশ্যই পরিকল্পিত এবং পরিবেশ রক্ষা করে।