স্টাফ রিপোর্টার ::
শহরের মল্লিকপুর খাদ্যগুদামে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৪জনকে দন্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে আচমকা পরিচালিত অভিযানে ধরা পড়ে যায় চার দালাল। এদের জন্য কৃষকরা সরকারিভাবে ধান বিক্রিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে আসছিলেন বলে জানাগেছে।
দীর্ঘদিন ধরেই মল্লিকপুর এলএসডিতে দালালদের উৎপাতের খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী’র নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় আদালতকে সহায়তা করে র্যাব-৯ সিপিসি-৩ সুনামগঞ্জ কোম্পানির একটি বিশেষ পেট্রোল। এর নেতৃত্ব দেন ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার ও সহকারি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। পরিকল্পনা অনুযায়ী খাদ্যগুদামকে চারদিক থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। এতে দালালরা পালাতে চাইলেও তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এসময় ধরা পড়ে দালাল সিন্ডিকেটের আজিজুল (৩২), শিমন (৩০), রাজু (৫০) ও পঙ্কজ (৩৬)।
তাদের কাছ থেকে ৫০টি কৃষককার্ড উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী। পরে তাদেরকে খাদ্যগুদামে অনধিকার প্রবেশের দায়ে প্যানেলকোড১৮৬ ধারায় অর্থদন্ডের আদেশ দেন আদালত।
র্যাব কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, ‘সোমবার দুপুরে মল্লিকপুর খাদ্যগুদামে ৪ দালালকে ধরে অর্থদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালত পরিচালনার সময় আমাদের একটি বিশেষ পেট্রোল সহযোগিতা করেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী বলেন, ‘অভিযান চালিয়ে খাদ্যগুদাম থেকে ৪ দালালকে ধরে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫০টি কৃষককার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে কাউকেই ছাড় দেইনি।’