বিশেষ প্রতিনিধি ::
কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগেই জেলা আ.লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ৭১ অথবা ১০১ সদস্যবিশিষ্ট হতে পারে। এতে দলের ত্যাগী, নির্যাতিত, রাজপথে সক্রিয় ও সাবেক ছাত্রনেতারা স্থান পাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা নেতৃবৃন্দ।
কেন্দ্রীয় সম্মেলনে নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ কাউন্সিলর হিসেবে যোগ দেবেন বলে ওই সূত্র নিশ্চিত করেছে। নতুন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ‘যোগ্য’ নেতাদের স্থান দেয়ার জন্য ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। অন্যদিকে সাবেক কিছু ছাত্র নেতাও কমিটিতে ঢুকতে জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে তদবির করছেন।
নানা জল্পনা-কল্পনার পর এ বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলা আ.লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯ বছর পর শহরের জুবিলী স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে জেলা নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি থেকে সভাপতির দায়িত্ব পান সাবেক এমপি মতিউর রহমান। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদা মুকুট দায়িত্ব থেকে বাদ পড়েন। তাঁর বদলে জেলা যুবলীগের তৎকালীন আহ্বায়ক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
দুই সদস্য’র কমিটি গঠনের চার মাস পর ইতোমধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের তোরজোর শুরু হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা আ.লীগের সভাপতি মতিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়ে দফায় দফায় নিজেদের মধ্যে কথা বলেছেন। তাঁরা নিজেদের পছন্দের নেতাদের ‘পদ-পদবি’ নিয়েও কথা বলেছেন। তাঁদের মধ্যে সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদ নিয়ে বেশি আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া মতিউর রহমান রহমান ও ব্যারিস্টার ইমন তাঁদের নিজস্ব বলয়ের নেতাদের নিয়েও কমিটি গঠন নিয়ে কথা বলেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সিনিয়র সভাপতি পদে ছাতক-দোয়ারাবাজারের এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আফতাব উদ্দিন, পৌর মেয়র আয়ূব বখত জগলুল, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদা মুকুট আলোচনায় আছেন। সহ-সভাপতি পদে সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, অ্যাড. শামছুন নাহার বেগম শাহানা এমপি, সাবেক সহ-সভাপতি সিদ্দিক আহমদ (জগন্নাথপুর), সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. নান্টু রায়, অ্যাড. সুরেশ দাস, অ্যাড. আলী আমজাদ, অ্যাড. রইছ উদ্দিন, অ্যাড. শফিকুল আলম, ইদ্রিছ আলী বীরপ্রতীক (দোয়ারাবাজার), রেজাউল করিম শামীম (জামালগঞ্জ), দেওয়ান ইমদাদ রেজা, আমির হোসেন রেজা, ফ্রান্স প্রবাসী আ.লীগ নেতা জসিম উদ্দিন ফারুক, অ্যাড. খায়রুল কবির রুমেন, জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুল মনাফ, দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র আজিজুর রহমান বুলবুল আলোচনায় রয়েছেন।
যুগ্ম সম্পাদক পদে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ আল আজাদ (জামালগঞ্জ), সাবেক প্রচার সম্পাদক হায়দার চৌধুরী লিটন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম, ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, অবনী মোহন দাস, দিরাই পৌরসভার মেয়র মোশারফ মিয়া, কৃষকলীগের সভাপতি সুবীর তালুকদার বাপ্টু, শ্রমিকলীগের সভাপতি সিরাজুর রহমান সিরাজ, কৃষকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, জননেতা আব্দুর জহুরের পুত্র জুনেদ আহমদের নাম শোনা যাচ্ছে।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী, বিলকিস আহমদ শামীম (ধর্মপাশা), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান সেলিম, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোক্তাদির আহমদ মুক্তা, ফরিদ আহমদ তারেক (দোয়ারাবাজার), আ.লীগ নেতা মো. জিয়াউল হকের নাম শোনা যাচ্ছে।
জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা চলছে। দলের ত্যাগী এবং যোগ্য নেতাদের অবশ্যই মূল্যায় করা হবে।