দক্ষিণ সুনামগঞ্জ অফিস ::
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নে আক্তাপাড়া-কাঠালিয়া উদয়তারা জলমহালের পাহারাদার মো. আমানত উল্লাহ (৫৫)-কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তসহ ১০ ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে কাঠালিয়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী উদয়তারা জলমহালের পাহারাদার মো. আমানত উল্লাহ পাহারায় গেলে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা শনিবার ভোররাতে নৃশংসভাবে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পানিতে ফেলে রাখে।
এ ঘটনার নিহত আমানত উল্লাহ’র মেয়ের জামাই সায়ফুল ইসলাম বাদী হয়ে কাঠালিয়া গ্রামের ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, আক্তাপাড়া-কাঠালিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির অনুকূলে উদয়তারা জলমহালটি সরকারিভাবে ইজারা পাওয়ায় সমিতির সদস্য আমান উল্লাহ উদয়তারা জলমহালে প্রায় ৬ মাস ধরে পাহারাদারের কাজ করে আসছিলেন। প্রতিপক্ষের লোকজন জলমহালটি ইজারা না পাওয়ায়, গ্রাম্য বিভিন্ন বিরোধ ও পূর্বাক্রোশে ঘটনার কিছুদিন পূর্বে একই গ্রামের দুলু মিয়া, মাহবুব মিয়া, হায়দার মিয়া, মিজানুর রহমান ও মতিউর রহমান গং আমানত উল্লাহকে হত্যার করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়।
জানা যায়, আমান উল্লাহ গত ১০ জুন রাত ১০টার দিকে খাবার খেয়ে কাঠালিয়া গ্রামের পূর্ব পার্শ্বে উদয়তারা জলমহালে পাহারাদারের দায়িত্ব পালনের জন্য নৌকাযোগে যান। ভোরে বাড়িতে ফিরে না আসায় তাঁর খোঁজ করতে থাকেন স্বজনরা। একপর্যায়ে উদয়তারা জলমহালের পানিতে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এসময় নিহত আমানত উল্লাহের মুখমন্ডলে, মাথায় ধারালোর অস্ত্রের আঘাতের একাধিক চিহ্ন দেখা যায় বলে জানান মামলার বাদী সায়ফুল ইসলাম।
পুলিশ আমানত উল্লাহর লাশ ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আকিকুল ইসলাম জানান, উক্ত ঘটনায় মামলা দায়েরা করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।