হঠাৎ করে সবজির বাজারে শুরু হয়েছে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। দেশে খাদ্যাভাব না থাকলেও সবজির অধিক মূল্য সাধারণ মানুষের উৎকণ্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্যা, পাহাড়ি ঢল এবং অতিবর্ষণ শুধু চাল নয়, সবজির বাজারেও যেন আগুন ধরিয়েছে। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে মজুদদারদের বিরুদ্ধে সরকারের কড়া মনোভাবে দাম কিছুটা হলেও কমেছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত সবজি বাজারে না আসার কারণে সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে।
আমরা মনে করিÑ সরকারকে সবজির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা যেন কোথাও চাঁদাবাজির শিকার না হন সেদিকে নজর দেওয়ার পাশাপাশি অতিমুনাফার দানবেরা আমদানিনির্ভর পণ্যের বাজারে যাতে কালো হাত বাড়াতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, চাহিদামতো পণ্য বাজারে থাকলে আকস্মিক মূল্য ওঠানামার কথা নয়। যদি মজুদদারের গুদামে পণ্য থাকে এবং অতিরিক্ত মুনাফার আশায় বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা চলে, তাহলে তো বাজারে অস্থিরতা দেখা দেবেই। এক্ষেত্রে ভোক্তারা সেই ফাঁদে পড়ে নিজেদের পরিশ্রমলব্ধ অর্থ মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় করতে বাধ্য হন। সরকার যদি মজুদদারির ওপর কড়াকড়ি আরোপ এবং ব্যবসায়ীদের আইন মানাতে সচেষ্ট হয়, তাহলে ইতিবাচক ফল লাভ সম্ভব। এজন্য পণ্যের চাহিদা ও যোগানের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানে বাজার মনিটরিংয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম ভোক্তাদের সহনীয় মাত্রায় রাখতে কেউ যাতে অতিমুনাফার আশ্রয় না নেয় সে বিষয়ে নজর ও পণ্যের আমদানি, মজুদ ও বাজার মনিটরিংয়ের ওপর গুরুত্ব দেবেন এটাই প্রত্যাশা।