অনিয়ম-দুর্নীতি যেন স্তরে স্তরে ছড়িয়ে পড়ছে। মূল্যবোধের অবক্ষয়ের এই সময়ে ‘কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ’ একটি উদাহরণ। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের দুই ইউপি সদস্য কাজ না করেই প্রকেল্পর টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে দৈনিক সুনামকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের চিকারকান্দি গ্রামের সিকন্দর আলীর বাড়ির সম্মুখ হতে আবিদ আলীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাটের জন্য পূর্ব পাগলা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টিআর প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লক্ষ ১০ হাজার ২৩২ টাকা প্রদান করা হয়। কিন্তু স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আবদাল মিয়া প্রকল্পের কোন কাজ না করে প্রকল্প চেয়ারম্যান কমিটির সদস্যরা পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া একই গ্রামের নতুন ব্রিজের সামনে থেকে প্রধান সড়ক পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরার করার জন্য পূর্ব পাগলা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টিআর প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। কিন্তু স্থানীয় ইউপি সদস্যা আফরোজা বেগম প্রকল্পের কোন কাজ না করে প্রকল্প চেয়ারম্যান কমিটির সদস্যরা পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেছেন।
এ ব্যাপারে পূর্ব পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছেন অভিযুক্তরা সপ্তাহখানেকের মধ্যে টাকা ফেরত দেবে। এ প্রসঙ্গে বলতে হয়- এই আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত দেয়াই কি সমাধান? আমরা মনে করি, দুর্নীতির এমন ঘটনার জন্য টাকা ফেরতই একমাত্র সমাধান হতে পারে না। সার্বিক বিবেচনায় সরকারি বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করাই সমীচীন। পাশাপাশি পরবর্তীতে এমন অনিয়ম-দুর্নীতি আর যাতে না ঘটে সে জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। আমরা আশা করবো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিবে। সকল প্রকার অনিয়ম রোধ করবে। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রতিটি ক্ষেত্রে শুদ্ধাচার নীতির প্রয়োগ করতে হবে।