সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
আরেক দফা পেছাতে পারে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। দলের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, আগামী ১০-১১ জুলাই অনুষ্ঠেয় জাতীয় সম্মেলন পিছিয়ে মাসের শেষ সপ্তাহে নির্ধারণ করা হতে পারে। তবে আরেকটি সূত্র বলছে, শেষ পর্যন্ত জুলাই মাসে সম্মেলন নাও হতে পার। তেমন যদি হয়ই সেক্ষেত্রে সম্মেলন পিছিয়ে সেপ্টেম্বরেও হতে পারে।
রোজা শেষে আগামী ৭ জুলাই ঈদ-উল-ফিতর উৎযাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৮-৯ শুক্র ও শনিবার। রোববার ঈদের পর প্রথম কর্মদিবস ১০ জুলাই। আর ঈদের রেশ থাকবে আরো অন্তত কয়েক দিন। ফলে আগামী ১০-১১ জুলাই জাতীয় সম্মেলন করা দলের জন্য কঠিন হবে।
দলের সভাপতিমন্ডলীর অন্তত তিন জন সদস্যের সঙ্গে সম্মেলন নিয়ে আলাপ হয় সাংবাদিকদের। তারা বলেছেন, আরেক দফা সম্মেলন পেছাতে পারে। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তারা বলেছেন, ঈদের পর প্রথম সরকারী কার্যদিবসে আমাদের সম্মেলনের তারিখ হওয়ায় সম্মেলন পেছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
কারণ ঈদের পর বাড়ি থেকে কর্মক্ষেত্র ঢাকায় মানুষের ঢল নামবে। তার উপর ঐ সময় যদি দলের জাতীয় সম্মেলন চলে তাহলে জনদুর্ভোগ আরো বাড়তে পারে। সম্মেলনে সারাদেশের জেলা-উপজেলা এবং থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসবে। এর ফলে পথে সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে নেতাকর্মীরাও ভোগান্তিতে পরবে। ভোগান্তি বাড়বে কর্মস্থল ও সম্মেলনমুখী উভয়েরই। এসব বিবেচনায় নিয়ে সম্মেলন পেছানোর সম্ভাবনাই বেশি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির প্রভাবশালী এক নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। মানুষের জন্যই আমরা রাজনীতি করি। তাই ঈদের পরে কর্মক্ষেত্রে ফিরতে মানুষের যেন ভোগান্তি না হয় সেই জন্য আমাদের সম্মেলন পিছানোর একটি স¤া¢বনা দেখা দিয়েছে।
স¤পাদকমন্ডলীর সদস্যরা জানান, আজ শনিবার কার্যনির্বাহী বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। সম্মেলন পেছানো হলে কতদিন পিছাতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে এই নেতারা বলেন, কমপক্ষে এক সপ্তাহ কিংবা আরও বেশি হতে পারে। কিংবা জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, সম্মেলন পিছানো হবে কিনা সেটা আমি জানি না।
গত ২৯ মার্চ আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মাঝামাঝি সময়ে সম্মেলনের তারিখ হওয়ায় তা পরিবর্তন করা করে আগামী ১০-১১ জুলাই করা হয়।