সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মোট ১৩ লাখ ১ হাজার ৯৯ জন শিক্ষার্থীর আবেদন পড়েছে। কলেজে ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের ফলাফল প্রকাশ করা হবে ১৬ জুন।
শুক্রবার (১০ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এসব আবেদন জমা পড়েছে বলে জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. আশফাকুস সালেহীন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী মানজুরুল কবীর বলেন, এরমধ্যে অনলাইনে ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৯৪৭ এবং মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ৪ লাখ ৫ হাজার ৮৬৮ আবেদন জমা পড়েছে। অনলাইন এবং এসএমএসে মোট ৪৪ লাখ ৯২ হাজার ২২২টি আবেদন পড়েছে। কিছু দ্বৈত আবেদনের কারণে মোট সংখ্যায় পার্থক্য রয়েছে বলে জানান মানজুরুল কবীর।
কলেজ পরিদর্শক ড. আশফাকুস সালেহীন বলেন, যারা দু’ভাবে আবেদন করেছে তাদের যেকোন একটি ধরা হবে।
তিনি আরও বলেন, সারা দেশে সাড়ে ১৯ লাখের বেশি আসন রয়েছে। ভর্তিতে কোনো শিক্ষার্থীর সমস্যা হবে না।
কলেজ পরিদর্শক জানান, বরিশালে ৬৫ হাজার ১০২, চট্টগ্রামে ১ লাখ ৭ হাজার ৩৩০, কুমিল্লায় ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৫৯, ঢাকায় ৪ লাখ ৯ হাজার ৬৭৫, দিনাজপুরে ১ লাখ ৩২ হাজার ৪৬৮, যশোরে ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৪৯, সিলেটে ৭৩ হাজার ৭১, মাদ্রাসা বোর্ডে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫৪ এবং কারিগরি বোর্ডে (বিটিটিবি) ১ লাখ ১০ হাজার ৮০৭ জন আবেদন করেছে।
এদিকে টাকা জমা দেওয়া ও আবেদনের নির্ধারিত সময় ৯ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড থাকলেও পরবর্তীতে কয়েক ধাপ বাড়িয়ে সাড়ে ৩টায় বন্ধ করা হয়।
আবেদনকারীদের ফলাফল বা মনোনয়ন ১৬ জুন একাদশে ভর্তির ওয়েবসাইটে (িি.িীরপষধংংধফসরংংরড়হ.মড়া.নফ) প্রকাশ করা হবে। ভর্তির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আবেদনের সময় প্রদত্ত মোবাইল ফোন নম্বরেও সংক্ষিপ্ত ফলাফল পাওয়া যাবে। শিক্ষার্থীরা তাদের আবেদনকৃত কলেজের নোটিশ বোর্ডেও ফলাফল দেখতে পারবেন। শিক্ষার্থীরা তাদের আবেদনকরা প্রতিটি কলেজে মেধা তালিকায় অথবা অপেক্ষমাণ তালিকায় ফলাফল পাবে। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে তাদের রোল, বোর্ড, পাসের সন ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফলাফল দেখতে পারবেন। যে সব শিক্ষার্থী কোনো কলেজে ‘বিশেষ কোটা’র জন্য আবেদন করেছে তাদের ৯ জুনের মধ্যে উক্ত কলেজে বিশেষ কোটার কাগজপত্র দাখিল করতে হবে।
গত ১১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়, যাতে ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ২০১ জন অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৬০৫ জন। পাসের হার ৮৮.২৯ শতাংশ। এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬১ শিক্ষার্থী। আবেদনকারী এবং মোট পাস করা শিক্ষার্থীর হিসাবে ১ লাখ ৫১ হাজার ৫০৬ জন শিক্ষার্থী আবেদনের বাইরে রয়ে গেল।
গত কয়েক বছর ধরে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি করানো হলেও এবার দ্বিতীয়বারের মতো অনলাইনে এবং এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন নিয়ে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করানো হবে। ২৬ মে থেকে অনলাইন এবং এসএমএসে ভর্তির আবেদন গ্রহণ শুরু করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। শিক্ষার্থীরা টেলিটক মোবাইল ফোনে এসএমএস এবং অনলাইনে ভর্তির জন্য আবেদন করছেন। প্রথম দিন টেলিটকের এসএমএস পাঠানোর পর ফিরতি এসএমএস দেরিতে আসায় বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন প্রার্থীরা। পরবর্তীতে সমস্যা কাটিয়ে উঠে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ক¤িপউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইআইসিটি) ভর্তি প্রক্রিয়ায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডকে সহায়তা করছে।
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, ১৮ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত আসনের বিপরীতে নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা যাবে। আর অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি চলবে ২৩-৩০ জুন পর্যন্ত।
২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে আগামী ১০ জুলাই। বিলম্ব ফি দিয়ে আগামী ১০-২০ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি হওয়া যাবে। আবেদনের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন স¤পন্ন সিম ব্যবহার করতে হবে বলে আগেই জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।