সুনামগঞ্জ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে নিহত হয়েছেন ৭ জন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। মৃত্যু মানে স্বজন হারানোর কান্না, শোক ছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনায় কখনো কখনো গোটা পরিবার ধ্বংসের মুখোমুখি হয়। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা বর্তমানে জাতীয় কর্তব্য হিসাবে দাঁড়িয়েছে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় অটোরিকশা উল্টে ঘটনাস্থলেই নিহত হন দু’জন বৃদ্ধা। গত বুধবার সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক সড়কের জাতুয়া নামক স্থানে বাস পিকআপ ভ্যানের সাথে ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে নিহত হন দুই জন, এরপরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার কাঠইর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে নিহত হন একজন মহিলা। সর্বশেষ গত শুক্রবার সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের নীলপুর এলাকায় বেপরোয়ার গতির বাস দুই জনকে চাপা দিলে তারা ঘটনাস্থলেই নিহত। নিহত ৭ জনের মধ্যে ১ জন শিশু, ৪ জন মহিলা ও ২ জন পুরুষ রয়েছেন। এ সব দুর্ঘটনা সাধারণ মানুষকে ক্রমেই ভাবিয়ে তুলছে।
এ সব দুর্ঘটনার বিভিন্ন কারণ চিহ্নিত করেছেন সচেতন ব্যক্তিরা। তার মধ্যে রয়েছে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, চালকের অসাবধানতা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামানো, ট্রাফিক আইন যথাযথ অনুসরণ না করা, অদক্ষ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক, ওভারট্রেকিং প্রবণতা, সড়কের বেহাল দশা, সড়কের দুই পাশে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকা ইত্যাদি। সর্বোপরি এর সাথে সচেতনতার বিষয়টিও সম্পৃক্ত। তাছাড়া ট্রাফিক আইন যুগোপযোগী ও ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। দক্ষ চালক গড়ে তোলার জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে রাষ্ট্রকে। নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সকলের প্রচেষ্টায় সড়কে চলাচল নির্বিঘœ হোক – এটাই প্রত্যাশা।