সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি ওই সড়কের দুই পাশে মজুদ করে রাখায় ঝুঁকি আরো বেড়েছে। যেমনি ঘটছে দুর্ঘটনা তেমনি বেড়েছে ভোগান্তি। এ নিয়ে সুনামকণ্ঠে গতকাল প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
জানাগেছে, সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের ওয়েজখালি এলাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় সড়কের দুই পাশে কমপক্ষে ৫ হাজার বৈদ্যুতিক খুঁটির মজুদ করে রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। কোনো কোনো খুঁটির অংশ উঠে এসেছে সড়কের উপর। আর এসব খুঁটি সড়কের পাশে থাকায় এবং এগুলো সময়ে সময়ে ট্রলিতে লোড-আনলোড করায় গণপরিবহন চলাচলে ঝুঁকি ও ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।
সড়কে যানবাহন চলাচলে সামান্য অসাবধানতাবশত ঘটে নানা দুর্ঘটনা। এমন অবস্থায় অভারটেকিং করতে বা পার্কিং করার সময় সড়কের দুই পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে চালকদের। এমনকি সড়কের অর্ধেক পর্যন্ত দখল করে এসব খুঁটি ট্রলিতে লোড-আনলোড করার কারণে প্রায়ই সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। আর এসব যানজট থেকে মুক্তি পেতে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।
সড়ক বিভাগ জানায়, এসব বৈদ্যুতিক খুঁটি সড়কের দুই পাশে কোন অনুমতি ছাড়াই মজুদ করছে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এ বিষয়ে কয়েক দফা চিঠি প্রেরণের মধ্য দিয়ে এসব খুঁটি দ্রুত সরিয়ে নিতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানালেও কোন সাড়া দেয়নি তারা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব খুঁটি সড়কের পাশ থেকে অন্যত্র সরিয়ে না নেয়া হলে পল্লী বিদ্যুতের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা।
সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানায়, সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে মজুদ করা হয়েছে ৫ হাজার ৮৫০টি সিমেন্টের তৈরি খুঁটি। এর বাইরেও সুনামগঞ্জ জেলা সদরের আরো কিছু স্থানে তাদের বৈদ্যুতিক খুঁটির মজুদ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ আরো নতুন বৈদ্যুতিক খুঁটি সুনামগঞ্জে নিয়ে আসার চাহিদা দেখিয়েছে। তবে আগামী শুষ্ক মৌসুমে সড়কের পাশে থাকা সবগুলো খুঁটি সরিয়ে নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
যান ও জন চলাচল সড়কে বাধার সৃষ্টি করে পল্লী বিদ্যুতের যে খুঁটি রাখা হয়েছে। তা অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ। সড়কের পাশে রাখা খুঁটিগুলো যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তাই এগুলো দ্রুত সরিয়ে নেয়া জরুরি। আমরা আশা করবো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনতিবিলম্বে এগুলো সরিয়ে নিতে পদক্ষেপ নেবে।