ওএমএস’র চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাল নিতে আসা ক্ষতিগ্রস্ত ও দরিদ্র মানুষের ভিড় এখন কমে গেছে। ওএমএস ডিলারের দোকানে এমন চিত্র লক্ষ করা গেছে। হাওরপাড়ে কৃষক পরিবারে খাদ্য সংকট ও অভাব অনটন এখনও বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে এ চালের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।
খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) চালের দাম কেজিতে ২০ টাকায় নামিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)। প্রান্তিক মানুষের মধ্যে কম দামে পণ্য বিক্রির জন্যই ওএমএস কর্মসূচি। সেখানে চালের দাম ১৫ টাকা কেজি থেকে বাড়িয়ে এক লাফে ৩০ টাকা করার কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছে না সংস্থাটি। আমরাও এই যুক্তির সাথে এক মত।
বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে সানেমের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির ত্রৈমাসিক পর্যালোচনা শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়। অর্থ বছরের ত্রৈমাসিক পর্যালোচনার মূল প্রবন্ধে বলা হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে মজুদ ও বাজারমূল্য বিবেচনায় সরকার ওএমএস এর চালের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ২০ টাকা নির্ধারণ করতে পারে। বাজার দাম বেড়ে যাওয়ার যুক্তি দেখিয়ে সরকার এ সপ্তাহের শুরুতে খোলা বাজারে বিক্রির চালের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে।
খাদ্য অধিদপ্তর কর্র্তপক্ষ গত গণমাধ্যমকে জানায়, ওএমএস’এ চালের দাম দ্বিগুণ করায় প্রান্তিক মানুষের জন্য চাল কেনা কঠিন হয়ে পড়ছে। দেশের বাজারে চালের যোগান ঠিক রাখতে ভারত, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমার থেকে চাল আমদানির পাশাপাশি মজুদদারদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার কথাও বলছে গবেষণা সংস্থাটি। খাদ্য সংকট মেটাতে ওএমএস’র চালের দাম কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনার পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।