সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের এখন বেহাল অবস্থা। যাতায়াতে বাড়ছে পল্লী এলাকার জনমানুষের দুর্ভোগ।
অনেক ক্ষেত্রেই সড়কের সংস্কার কাজ দরপত্রের নিয়ম অনুযায়ী যেভাবে করার কথা ছিল, সেভাবে হয় না। সড়কের কাজের শুরুতেই কাজের বিবরণ সম্বলিত সাইনবোর্ড, সড়কের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা, ধরণ, প্রাক্কলিত মূল্য, এসব স্থানীয় জনগণের সামনে সাইনবোর্ডে উল্লেখ থাকার কথা। কিন্তু এসব বিষয় নজরে না এনেই বিভিন্ন এলাকায় সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে চলে নানা অনিয়ম। ফলে টেকসই সংস্কার কাজ হয় না। কিছুদিন যেতে না যেতে সড়কগুলো ভেঙে যায়। বাড়ে জনদুর্ভোগ।
সদর উপজেলার নবীনগর-হালুয়ারঘাট-মঙ্গলকাটা-ডলুরা সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে কয়েক মাস আগে। ৬ কিলোমিটার সড়কের বিটুমিনাস ও ঢালাইয়ের কাজের জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে শুরু হয়েছে এ কাজ। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শহরে প্রায় ২ লাখ মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। সদর উপজেলার সুরমা, জাহাঙ্গীরনগর, রঙ্গারচর ইউনিয়নের, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সুলোকাবাদ ইউনিয়নের, দোয়ারাবাজার উপজেলার চকবাজার, বাংলাবাজার এলাকার মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকেন। সুরমা নদীর উত্তরপাড়ের মানুষের শহরের সাথে যোগাযোগের প্রধান সড়ক এটি। এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কারে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
এদিকে সমপরিমাণ বরাদ্দে আরও কয়েক মাস আগে সুনামগঞ্জ শহর থেকে বেতগঞ্জ বাজার পর্যন্ত আরও একটি সড়কের উদ্বোধন হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংস্কার কাজ শুরুই হয়নি। সড়কের সংস্কার কাজের নামে মাসের পর মাস ফেলে রাখা হয়েছে এ ভাঙা সড়ক। ফলে জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। এমন অবস্থা কিছুতেই কাম্য হতে পারে না। সড়কগুলো সংস্কারের নজরদারি বাড়াতে হবে। পাশাপাশি যারা সড়কের কাজে অনিয়ম করবে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।