হাসান বশির ::
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউপি’র চেয়ারম্যান পদে পুনঃনির্বাচন বিষয়ে ইলেকশন কমিশন (ইসি)-এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার ভোটার।
গত ৪ জুন সারাদেশের ন্যায় শেষ ধাপে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ৫ ইউপি নির্বাচন। নির্বাচনে ৫ ইউপি’র ৪টিতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নে দুই প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় পুনঃনির্বাচনের ঘোষণা দেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার।
মিয়ারচর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার বলেন, ভোট শান্তিপূর্ণ একটি সমাধান। আমরা ইউনিয়নবাসী ইসি’র নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। আমরা পুনরায় সুশৃঙ্খল নির্বাচন চাই।
বাগগাঁও গ্রামের কবির হোসেন বলেন, গণতন্ত্র মানে ভোটতন্ত্র। ভোটের মাধ্যমেই প্রার্থী নির্বাচন করা ভাল।
বাদাঘাট দক্ষিণ ইউপির নবনির্বাচিত সদস্য এমদাদুল হক বলেন, ভোট ছাড়া অন্য কোন উপায়ে চেয়ারম্যান নির্বাচনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে এমন হলে ইউনিয়নের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।
ললিয়ারপুর গ্রামের শাহ আলম বলেন, খুব দ্রুত ভোট চাই, ভোট ছাড়া বিকল্প নাই।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল গণি (নৌকা) ও এরশাদ মিয়া (লাঙ্গল) উভয়ই ৪ হাজার ৩০ভোট পান। এ জন্য কোনো প্রার্থীকেই বিজয়ী ঘোষণা করা যায়নি। এই দুই প্রার্থীর ভোট সমান হওয়ায় পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জানা যায়, এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদ মিয়া বলেন, আমি ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলাম। পরাজিত দেখানো হয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা নির্বাচনের মাধ্যমেই বাস্তব প্রতিফলন ঘটবে।
এদিকে আ.লীগ প্রার্থী আব্দুল গণি একই দাবি করে বলেন, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। সিদ্ধান্ত যাই হোক মেনে নেব।
উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন অফিসার মো. বেলাল হোসেন জানান, উক্ত ইউপি নির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী আব্দুল গণি ও জাতীয়পার্টির প্রার্থী এরশাদ মিয়া ৪ হাজার ৩০ ভোট করে সমান সংখ্যক ভোট পেয়েছেন। অন্য দুই প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাড. ছবাব মিয়া পেয়েছেন ৩ হাজার ৭১৪ভোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ প্রার্থী আমিন উদ্দিন ভূইয়া পেয়েছেন ১৩ভোট।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, সমান ভোট পাওয়ায় এই দুই প্রার্থীর মধ্যে আবার ভোট হবে। ভোটের দিন নির্ধারণ করবেন নির্বাচন কমিশন।