সুনামগঞ্জের ফসলহারা নিঃস্ব কৃষকদের এখন উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরতে দিচ্ছেনা ইজারাদাররা। জলমহালের সুনির্দিষ্ট সীমানা চিহ্নিত না করায় দাপুটে ইজারাদাররা এই সুযোগে পুরো হাওরে আধিপত্য সৃষ্টি করে কৃষকদের জাল ও নৌকা কেড়ে নিচ্ছে। অনেককে নির্যাতনের পাশাপাশি মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। হাওরের জলমহাল ইজারা সম্পূর্ণ বেআইনী। ইজারাপ্রথা বিলুপ্ত করে টোকেন মানি দিয়ে সারা বছর মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার সুযোগ দিতে হবে। বাসদ (মার্কসবাদী), সিলেট জেলা শাখা আয়োজিত আঞ্চলিক হাওর কনভেনশনে বক্তারা এ কথাগুলো বলেছেন।
বলতে দ্বিধা নেই, আমাদের হাওর অঞ্চলের জেলেরা যেমন অবহেলিত, তেমনি অনেক ক্ষেত্রে নির্যাতিত-অধিকার বঞ্চিত। উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছধরা তাদের অধিকার। কিন্তু এই অধিকার ভোগ করতে গিয়ে তাদেরকে মামলা-হামলার শিকার হতে হচ্ছে। এই অবস্থা আর চলতে দেয়া যায় না।
এ বছর হাওরের বাঁধ ভেঙে কৃষকদের দুই লাখ ২০ হাজার হেক্টর ফসল নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকেরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সরকার কৃষকদের নানা ধরনের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবী-কৃষকদের জন্য উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরার অধিকার বাস্তবায়ন করার বিকল্প নেই। পাশাপাশি হাওর এলাকার জন্য সরকারকে বিশেষ টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।