স্টাফ রিপোর্টার ::
জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেছেন, গ্রাম পুলিশের সদস্যরা পুলিশেরই অংশ। স্থানীয় পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের দায়িত্ব কর্তব্য পুলিশের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। গ্রাম পুলিশের সদস্যদের পুলিশের তৃতীয় নয়ন আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, গ্রাম পুলিশের সদস্যদের চোখ দিয়েই আইন-শৃঙ্খলা বিঘœ সৃষ্টিকারীসহ সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে পুলিশ। গ্রাম পুলিশ তৃণমূল পর্যায়ের একটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ বাহিনীর সহযোগী হিসেবে তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকে। তিনি বলেন, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিংয়ের মতো সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধের পাশাপাশি গ্রাম পুলিশের সদস্যরা জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়ন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়ন সুনামগঞ্জ জেলার ৭ শতাধিক গ্রাম পুলিশ জীবন চিত্র আমি জানি। অতীতের চেয়ে বর্তমান সরকার গ্রাম পুলিশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অনেক কিছু করছে। বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ পোশাক ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে অপরাধ তথ্য, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের সংবাদ প্রেরণসহ অপরাধীদের অনুসন্ধান করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রেরণ করবে তাদেরকে প্রতিবছর জেলা প্রশাসন পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান করবে। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রত্যেককে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। গ্রাম পুলিশের সকল সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।
গ্রাম পুলিশ মাজেদা আক্তারের সঞ্চালনায় ও বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়ন জেলা শাখার সভাপতি অবনী কান্ত দেবনাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এমএ আলীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়ন জামালগঞ্জ শাখার উপদেষ্টা সাংবাদিক অঞ্জন পুরকায়স্থ। এসময় জেলা ১১ উপজেলা থেকে তিন শতাধিক গ্রাম পুলিশ উপস্থিত বেতন স্কেল বর্ধিতকরণ, গ্রামীণ আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়নে বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেন।