ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বেখইজোড়া গ্রামে গত শনিবার বিকেলে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কোহিনূর চৌধুরী (১৯ ) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এ সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০জন আহত হন। এ ঘটনায় নিহত কোহিনূর চৌধুরীর বাবা সামছুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে তৌফিকুল ইসলাম তালুকদারসহ ২৭জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-১৬জনকে আসমি করে গতকাল রোববার বিকেলে ধর্মপাশা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নে গত শনিবার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মোরগ প্রতীক নিয়ে সামছুল হক চৌধুরী ও ফুটবল প্রতীক নিয়ে তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার নির্বাচনে অংশ নেন। ভোট গণনা শেষে সামছুল হক চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন এমন খবর এলাকার লোকজনদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ওই ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থী তৌফিকুল ইসলাম তালুকদারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওইদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সামছুল হক চৌধুরীর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় দুই পক্ষের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেলে অন্তত ১০জন আহত হন। তাদের মধ্যে অচেতন অবস্থায় কোহিনূর চৌধুরীকে শনিবার রাত আটটার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বেখইজোড়া গ্রামের পেছনের সড়ক থেকে আফজাল মিয়া (৪৫) ও লোকমান মিয়া (৪০) আটক করা হয়। পরে তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
ধর্মপাশা থানার ওসি মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতন্তের জন্য রোববার সকালে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই মামলায় দুইজন এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।