সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ব্যক্তিগতভাবে কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না বলে জানিয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বিএনপি নেত্রীর সিম নিবন্ধন না করার তথ্য রোববার সাংবাদিকদের জানানোর পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী এ কথা বলেন।
“আমাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ব্যক্তিগতভাবে কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। তাই তার সিম বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করার প্রশ্নই ওঠে না।”
রোববার সকালে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন বিষয়ে অপারেটরদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সাংবাদিকদের বলেন, “আমার জানা মতে, কোনো সিম উনার (খালেদা জিয়া) নামে নেই। সেক্ষেত্রে হয়ত উনি অন্যের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে যোগাযোগ করেন। উনি এখনও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন করেননি। উনার নামে না করলে সেটি ইতোমধ্যে ডিঅ্যাকটিভেটেড হয়ে গেছে।”
খালেদা জিয়া মোবাইল সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করাননি ‘জেনে’ কয়েকদিন আগে এক অনুষ্ঠানে একে ‘দায়িত্বহীনতা’ আখ্যায়িত করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা স¤পাদক হাছান মাহমুদ।
এর সূত্র ধরে রোববার সাংবাদিকরা প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, খালেদা জিয়ার মোবাইল সিম বন্ধ করা হয়েছে কীনা এবং তার নামে কতটি সিম রয়েছে।
জবাবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সবাই সিম নিবন্ধন করেছেন জানিয়ে খালেদা জিয়া না করায় হতাশা প্রকাশ করে তারানা হালিম।
“এখানে আমরা একটু কষ্ট পেয়েছি, একটু হতাশ হয়েছি যে যেহেতু তিনি করেননি, তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। তিনি করলে আমরা খুশি হতাম।
“আমরা আশা করেছিলাম, একটি রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন হিসেবে খালেদা জিয়া বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করে একজন সচেতন নাগরিকের ভূমিকা পালন করবেন।”
এ বিষয়ে রিজভী বলেন, “চেয়ারপারসনের বাসা ও কার্যালয়ে টিঅ্যান্ডটি টেলিফোন আছে। সেটাই তিনি ব্যবহার করে থাকেন।”
নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখনকার বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে ফোন করে না পেলে জানা যায়, বিএনপিনেত্রীর বাড়ির লাল টেলিফোন অনেকদিন ধরে ‘ডেড’। পরে দুই সহযোগীর ফোনে কথা হয় দুই নেত্রীর।
বিটিসিএল পরে জানায়, তারা খালেদা জিয়ার লাল ফোন সারিয়ে দিয়েছে।