দিরাই প্রতিনিধি ::
‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারে আমার ইউনিয়নে একটিমাত্র প্রকল্প কালিকুটা হাওর পিআইসি নং ১৮২, বরাদ্দ ছিল ১ লক্ষ ৫৪ হাজার। আমি দুই মেয়াদে মাত্র ৬০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছি। বাকি টাকা এখনো পাইনি। হাওর পাড়ের ৯০ ভাগ কৃষকের একমাত্র ফসলের কথা চিন্তা করে আমার কষ্টের টাকা দিয়ে সরকারি বিধি অনুযায়ী বাঁধের কাজ সম্পন্ন করি। বাঁধটি এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ সুরক্ষিত আছে। এ বাঁধ দিয়ে রিকশা, অটোরিকশাসহ এলাকার মানুষ যাতায়াত করছেন। বাঁধের কাজে কোন অনিয়ম হয়নি। আমার সাথে নির্বাচনে পরাজিত মহল মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে আমাকে সমাজে হেয়-প্রতিপন্ন করতে এর আগেও আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ দিয়েছে। রাতের আঁধারে বাঁধের মাটি সরিয়ে আইনজীবী সমিতিকেও ওই পরাজিত মহল মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। আমি তাদের ষড়যন্ত্রের শিকার। এর আগে মাননীয় দুদক চেয়ারম্যান, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ হাওর সংশ্লিষ্টদের হাওর পরিদর্শনে অনুরোধ জানিয়েছি। এখনো সরেজমিনে বাঁধ পরিদর্শন করলেই ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচিত হবে।’
মঙ্গলবার দুপুরে রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ের হলরুমে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরী এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র দাস, শফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য শাহজাহান মিয়া, আবু তাহের, লেবু মিয়া, সজল দাস, মছদ্দর মিয়া, আজাদ মিয়া, মহিলা সদস্য নেওয়া বেগম, রানীয়া বেগম, সবিতা রানী তালুকদার, রাজানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক গোলাপ মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাইয়ুম, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি নিহার চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা যতীন্দ্র রায়, সাবেক ইউপি সদস্য আকিল মিয়া, রসময় দাস, সাধক হরিভক্ত দাস, আওয়ামী লীগ নেতা রাকিব আলী, আমরাজ তালুকদার, দীপক দাস, মধু রায়, স্বপন দাস, চমক আলী, সফি উদ্দিনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।