রাজর চন্দ ::
আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের কারণে তাহিরপুরে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। আ.লীগের কোন্দলের সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে বিএনপি। ফলে বিএনপি’র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচন পরবর্তী ভোট বিশ্লেষণে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ৪টিতে বিএনপি, ২টি আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ও ১ টিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নে বিএনপি’র হাজী খসরুল আলম ৯ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান হাজী আবুল হোসেন খাঁন ৮ হাজার ৯৫৮ ভোট পেয়েছেন।
দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সরকার ৩ হাজার ৭৬৫ ভোট পেয়ে বিজয় নিশ্চিত করেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী মহসিন রেজা মানিক ২ হাজার ৭১২ ভোট পান।
বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নে বিএনপি’র আলহাজ্ব আজহার আলী ২ হাজার ৭০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের হাজী এম ইউনুছ আলী ২ হাজার ২৭০ ভোট পান।
বড়দল উত্তর ইউনিয়নে বিএনপি’র আবুল কাসেম ৬ হাজার ৬২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মাসুক মিয়া ৫ হাজার ১৭১ ভোট পেয়েছেন।
বাদাঘাট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আফতাব উদ্দিন ১০ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন ৯ হাজার ২৯৫ ভোট পেয়েছেন।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়নে বিএনপি’র মো. বোরহান উদ্দিন ২ হাজার ২৯৪ ভোট জয় লাভ করেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী আতিকুর রহমান ১ হাজার ৭০৮ ভোট পান।
বালিজুরী ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আব্দুল জহুর ৩ হাজার ৯১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতাউর রহমান ৩ হাজার ১৪ ভোট পেয়েছেন।
ভোট বিশ্লেষকরা বলছেন, দলীয় কোন্দল ছাড়াও প্রার্থী বাছাইয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নেয়ায় তাহিরপুরে আ.লীগ কাক্সিক্ষত ফলাফল পায়নি। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি’র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।