1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৮:১০ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১, আহত ৩০

  • আপডেট সময় রবিবার, ৫ জুন, ২০১৬

ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলায় পৃথক দু’টি নির্বাচনী সহিংসতায় একজন নিহত ও ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার পাইকুরাটি ও সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নে এ দু’টি ঘটনা ঘটে।
ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বেখইজোড়া গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কোহিনুর চৌধুরী (১৮) নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। কোহিনুর চৌধুরী ওই গ্রামের শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে।
জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য প্রার্থী হিসেবে কোহিনুর চৌধুরী’র বাবা শামসুল হক চৌধুরী মোরগ প্রতীকে ও তৌফিক মিয়া ফুটবল প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শনিবার ভোটগ্রহণ শেষে বিকেল সাড়ে ৫টায় ভোটকেন্দ্র থেকে শামসুল হক চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৌফিক মিয়ার সমর্থনকারী ১৫-২০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শামসুল হক চৌধুরী বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেলে কোহিনুর চৌধুরীসহ আরো ১০ জন নারী-পুরুষ গুরুতর আহত হন। আহতদেরকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে নিয়ে গেলে কর্তব্য ডাক্তার কোহিনুর চৌধুরীকে মৃত হবে ঘোষণা করেন। ধর্মপাশা থানার ওসি মো. গোলাম কিবরিয়া মৃত্যুরটি খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের জারারকোণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রটি দখল করে এক ইউপি সদস্যের কয়েকজন সমর্থক ব্যালটে প্রকাশ্যে সিল মারছেন এমন গুজব রটানোকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার ওই ভোটকেন্দ্রের সামনে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ভোটকেন্দ্রের বেষ্টনি ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রায় ২০মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ছয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী ও ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। গতকাল শনিবার ভোটগ্রহণ চলাকালে দুপুর ১২টার দিকে গুজব রটে কোনো এক ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকেরা ভোটকেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিল মারছেন। এমন খবর পেয়ে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থী মাহফুজুল ও বাবলু মিয়ার লোকজন সেখানে ছুটে আসলে তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় রেহান উদ্দিন (৩২), শাহ পরান (২৮), সায়েদ মিয়া (৫৫), লিটন মিয়া (৩৫), মুখলেছ মিয়া (৩৪), সাবিনা আক্তার (১৯), তামান্না (২৫), শাহ আলম (৩৬)সহ অন্তত ২০জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে দুই পক্ষের উত্তেজিত সমর্থকরা এ সময় জারারকোণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের বেষ্টনি ভেঙে ফেলেন। এ অবস্থায় ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা ছয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
জারারকোণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক বলেন, ভোটকেন্দ্রে আসা ভোটারদের লাইন করে দাঁড়ানোর মধ্যে কথাকাটাকাটি করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংষর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। সংঘর্ষ চলাকালীন সময় প্রায় ২০মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ ছয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
ওই ভোটকেন্দ্রসহ ছয়টি ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনসুর উদ্দিন বলেন, গুজব রটানোকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে কোন কোন সদস্য প্রার্থীর সমর্থকেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তা জানা যায়নি। এ অবস্থায় কিছুক্ষণ সময় ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল এবং পরে তা স্বাভাবিক হয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com