স্টাফ রিপোর্টার ::
ইউনিয়ন পরিষদের ষষ্ঠ ও শেষ ধাপের ভোট আজ শনিবার। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার জেলার বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ ও জগন্নাথপুরে (রানীগঞ্জ ইউপি) নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এছাড়া শুক্রবারই নির্বাচনী কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যরা কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছান।
শেষ ধাপের ইউপি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী হার্ডলাইনে রয়েছে। কোনোপ্রকার গোলযোগ ও অনিয়মের চেষ্টা করা হলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা কি হবে এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ জানান, পুলিশকে শুধুমাত্র নির্বাচন কেন্দ্রের বাইরে বসে পাহারা দিলে চলবে না। ভোটকেন্দ্রের চারশো গজের ভিতরে কি হচ্ছে-না হচ্ছে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। কোন ভোটারের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা যাবে না। কারণ পুলিশ হচ্ছে জনগণের বন্ধু। একথা আমাদের কাজে-কর্মে সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে দিতে হবে। ভোটগ্রহণ শেষ হলে ভোট গণনার সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করাসহ সবশেষে কেন্দ্রের ব্যালট বাক্স ও প্রিজাইডিং অফিসারসহ সকল কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাঁদেরকে উপজেলা সদর পর্যন্ত নিজ দায়িত্বে নিয়ে যেতে হবে। কোন ভোটকেন্দ্রে কেউ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চাইলে প্রথমে তাকে বুঝিয়ে বলা হবে। তাতে কাজ না হলে লাঠিচার্জ করা হবে, তাতেও না হলে ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হবে। আর কেউ যদি ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বাক্সের দিকে হাত বাড়ায় তাহলে তার হাতটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হবে। তাতে যদি কাজ না হয় পায়ে গুলি করা হবে এবং এতেও যদি কাজ না হয় শর্টগান দিয়ে গুলি করে দাঁত ভাঙা জবাব দেয়া হবে। সে যেই হোক আওয়ামী লীগ, বিএনপি যে দলেরই হোক না কেন অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পুলিশ কাউকেই ছাড় দিবে না।
গতকাল শুক্রবার তাহিরপুর উপজেলা ফুটবল খেলার মাঠে নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের নির্বাচন পূর্ব ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল্লাহ্, ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. হানিফ।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা বলায় তৈরি করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বপালন করবেন। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।