মো. শাহজাহান মিয়া ::
আজ ৪ জুন শনিবার জগন্নাথপুর উপজেলার ৬নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় বারবার নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে নির্বাচনের আমেজে ভাটা পড়েছে। অনেকে শঙ্কায় ছিলেন, নির্বাচন হবে কি-না। রাণীগঞ্জের নির্বাচন ৩ মাসের জন্য স্থগিত করার পর প্রার্থীদের সকল প্রকার প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হয়ে যায়। তবে গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে নির্বাচন হওয়ার পক্ষে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার আলোকে অবশেষে নির্বাচন হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচন হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রার্থীদের সমর্থকরা রাতেই প্রার্থীদের পোস্টার ও ফেস্টুন লাগিয়ে আবারো প্রচারণা চালান। তবে নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেই প্রার্থীদের সকল প্রকার প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের এবার সাদামাটা নির্বাচন হবে। এদিকে- শেষ সময়ে এসে প্রার্থীরা তাদের বিজয় নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি নিয়ে কাজ করেছেন।
প্রবাসী অধ্যূষিত জগন্নাথপুরে নির্বাচন এলেই টাকার ছড়াছড়ি হয়ে থাকে। সে অনুযায়ী নির্বাচনের আগের রাতকে স্থানীয়রা ‘কাল রাত’ বলে থাকেন। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতি বারই বসন্তের কোকিল নামে পরিচিত প্রবাসী প্রার্থীরা টাকার জোরে বিজয়ী হয়ে থাকেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে ৬নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আমেরিকা প্রবাসী আব্দুল হাফিজ (মোটর সাইকেল), আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম রানা (নৌকা), বিএনপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী সামছুল ইসলাম (ধানের শীষ) ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সুজায়েল আহমদ দুলন (ঘোড়া)। এ ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডে ১১ জন নারী সদস্য ও সাধারণ ৯ টি ওয়ার্ডে ৪৬ জন সদস্য প্রার্থীসহ মোট ৬১ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। তবে নির্বাচনে হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজলুল হক নির্বাচন বর্জন করায় এবার লড়াই হবে ত্রিমুখী। এমনটাই ধারণা স্থানীয়দের। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আ.লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম রানা, বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সামছুল ইসলাম ও আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আমেরিকা প্রবাসী আব্দুল হাফিজ আসতে পারেন বলে স্থানীয় ভোটাররা জানিয়েছেন।