স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুরে একই ওয়ার্ডে ভাগ্নের সঙ্গে মামা ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ায় অভিমানে প্রার্থী ভাগ্নে গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাহিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের সূর্যেরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সূর্যেরগাঁও গ্রামের প্রদীপ দাস নির্বাচনী তৎপরতা শুরুর আগেই কাজ করছিলেন। শেষ পর্যন্ত তার আপন মামা নিবাস দাসও একই ওয়ার্ডে ভাগ্নের সঙ্গে প্রার্থীতা দেন। এ নিয়ে মামা-ভাগ্নের মধ্যে মন কষাকষি চলছিল। এর জের ধরে শুক্রবার সকালে নিজ বাড়ির টয়লেটে ঢুকে প্রদীপ দাস গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। টয়লেটে দীর্ঘক্ষণ থাকার পর বের না হওয়ায় পরিবারের লোকজন তাঁকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে সাথে সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংশ্লিষ্ট ডাক্তার তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ওসমানী হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁর চিকিৎসা চলছে বলে পরিবারের লোকজন জানান।
তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে মেম্বার প্রার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটে তার চিকিৎসা চলছে।