বাংলাদেশের জাতীয় কৃষ্টি ও সমৃদ্ধি কৃষি নির্ভর একথা সর্বজনস্বীকৃত। দেশের উন্নতি-অগ্রগতির মূলে কৃষি ও কৃষক নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে। কিন্তু এবারের ভয়াবহ হাওর বিপর্যয়ে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি যে ব্যাপক হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গত মার্চ মাসে হাওরের আগাম ফসলহানির পর সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুততম সময়ে হাওরের কৃষকের জন্য সহায়তার উদ্যোগে কৃষকরা আশান্বিত হয়েছিলেন। এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই সরকার ওএমএস, বিশেষ ভিজিএফসহ নানা কর্মসূচি হাতে নেয়। ওএমএস গত মাসেই শেষ হয়ে গেছে। বিশেষ ভিজিএফও বন্ধের পথে। তাই ফসলহারা কৃষক এখন উদ্বিগ্ন। ফসল হারিয়ে হাওরাঞ্চলের সকল কৃষকের সামনে অন্ধকার। সরকারি সহায়তার মেয়াদ বৃদ্ধি না করলে কৃষক নতুন খাদ্য সংকটের মুখে পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি প্রণোদনার মেয়াদ বাড়িয়ে সরকার অসহায় কৃষকের পাশে দাঁড়ানো অত্যাবশ্যক।
কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া, পারিবারিক পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, দানা শস্য বিশেষ করে ধানের উৎপাদন অব্যাহত রাখা, দুর্যোগ মোকাবেলায় কৃষকদের সক্ষমতা বাড়ানো সরকারের অন্যতম কর্তব্য। তাই আমরা মনে করি, হাওরের ফসলহানির পর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের প্রণোদনা ফুরিয়ে আসার আগেই সহায়তা বৃদ্ধি করতে হবে। তাদেরকে খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা না হলে আগামীতে দুর্গত কৃষদের অবস্থা আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। তাই কৃষি এবং কৃষক বাঁচাতে সরকার জরুরি ভিত্তিতে প্রণোদনার মেয়াদ আরো বাড়াবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।