‘মৎস্য-পাথর-ধান, সুনামগঞ্জের প্রাণ।’ তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই কথাটি অনেকটাই বেমানান। পাথর শেষ হয়ে গেছে অনেক আগে। এ বছর পাউবো’র বাঁধ ভেঙে ধান গেল, পরবর্তীতে ধানগাছ পচে সৃষ্ট অ্যামোনিয়া গ্যাসে মাছও মরলো। সব হারিয়ে টিকে থাকা দায় হাওরবাসীর। তারা এক সংকট কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আরেক সংকটে পড়ছেন। দুর্যোগ-দুর্ভোগ কিছুতেই যেন কাটছে না। তবে ক্ষতিগ্রস্ত হাওরবাসীর সহায়তায় এগিয়ে এসেছে সরকার। কিন্তু সরকারি এই সহায়তা অত্যন্ত অপ্রতুল।
এক সময় সুনামগঞ্জের হাওর-জলাশয়ে প্রায় ১০০ প্রজাতির মাছ ছিল। কিন্তু অনেক মাছই বিলুপ্তির পথে। আমরা মনে করি, গণসচেতনতার মাধ্যমে মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালাতে হবে। সরকারি উদ্যোগে খাল, বিল, হাওর-বাওরে মাছ চাষ করতে হবে। শুধু চাষ করলেই হবে না, বরং এর যথোপযুক্ত সংরক্ষণ ও তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। কারেন্ট জাল দিয়ে, বিল শুকিয়ে এবং বিষ দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ হলে মাছের উৎপাদন বহুগুণ বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে সম্ভাবনাময় এই খাতে নজরদারি ও যত্ন বাড়াতে হবে।