আব্দুজ জহুর সেতু উদ্বোধনের পর থেকে সেতু এবং সেতু এলাকায় বাতি জ্বালানোর দাবি জানিয়ে আসছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। ফলে সেতু এলাকা রাতের অন্ধকারে ভূতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়। বিভিন্ন সময়ে ঘটে অনাকাক্সিক্ষত নানা ঘটনা। রাতের অন্ধকারে সেতুর উপর দিয়ে চলাচলকারী গাড়ি ও যাত্রী সাধারণ এবং পথচারীরা আতঙ্কে থাকেন।
৭১ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি উদ্বোধন করা হয় ২০১৫ সালের ২০ আগস্ট। কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকে আজো জ্বলেনি বিদ্যুৎ বাতি। এতে জনসাধারণের চলাচলে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হচ্ছে না। অন্যদিকে সেতু এবং সেতু এলাকায় বাতি স্থাপনে চলছে রশি টানাটানি।
আব্দুজ জহুর সেতুর নির্মাণ দায়িত্বে ছিল সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেতুটির যখন ডিজাইন করা হয়, তখন সেতু এলাকায় কোনো লাইটিং কাজের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তাই সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে লাইটিং করে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। যেহেতু এ সেতুটি পৌরসভা এলাকার ভেতরে পড়েছে, এটা পৌরসভা লাইটিং করলেই ভাল হয়। আবার পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, সেতু এলাকাটি পৌরসভার ভেতরে কিন্তু সেতুটি পৌরসভার নয়। এটা সড়ক ও জনপথ বিভাগের। সেতুতে বৈদ্যুতিক বাতি লাগানোর ব্যাপারে সড়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। বরাদ্দ আসলে পৌর কর্তৃপক্ষ সেতু এলাকার সড়ক আলোকিত করে দেবে।
সেতু ও সেতু এলাকায় বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো নিয়ে দুই দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের এমন রশি টানাটানি চলছে প্রায় দুই বছর ধরে। কিন্তু বাতি জ্বালানোর দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ। আমরা চাই, এই রশি টানাটানি বাদ দিয়ে জনস্বার্থের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আব্দুজ জহুর সেতু ও সেতু এলাকায় বাতি স্থাপনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হোক।