মো. আমিনুল ইসলাম ::
সিয়াম সাধনার মাস রমজান আসার আগেই বাজারগুলোতে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। গতকাল সোমবার সুনামগঞ্জ শহরের পাইকারি ও খুচরা বাজার এলাকার দোকানগুলো ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। চলতি মাসেই বিভিন্ন পণ্যের দর বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দের দেয়া তথ্যে জানা যায়, চলতি মাসের শুরুর দিকে যেসব পণ্য তারা বিক্রি করেছেন সেগুলোর দাম হঠাৎ করেই বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে আসন্ন রমজান মাসকে কেন্দ্র করে চিনি, ছোলা, মসুর ডাল, রসুন, চিড়া ও গুড়া মসলাসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম আগের চেয়ে বেড়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর ব্যবসায়ী সমিতির তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরুর দিকে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৫০টাকা দরে। কিন্তু বর্তমানে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। এছাড়া মসুর ডাল (তুরস্ক) প্রতি কেজি ছিল ১১০টাকা। যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। চিনি ও মসুর ডাল ছাড়া প্রতি কেজি রসুন (চায়না) ২০০ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ২৬০টাকায়। ছোলা প্রতি কেজি ৮০টাকার পরিবর্তে ৮৫টাকা, রসুন (দেশি) ৮০টাকার পরিবর্তে ১১৫টাকা, রাঁধুনী গুঁড়া মশলা (মরিচ) প্রতি ৫০০ গ্রাম প্যাকেট ১৮৫টাকার পরিবর্তে ২০৮টাকা, চিড়া প্রতি কেজি ৩০টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ৩৫টাকায়।
অন্যদিকে, প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০টাকা, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২২ টাকা, শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৪০টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৯০ টাকা, সরিষার তেল (সুরেশ) প্রতি লিটার ২৬০টাকা, সরিষার তেল (রূপচাঁদা) প্রতি লিটার ২২০টাকা, বেসন প্রতি কেজি ৭০টাকা, গুঁড়া মশলা (হলুদ) প্রতিকেজি প্যাক ৩৭০ টাকা, গুঁড়া মশলা (ধনিয়া) প্রতি কেজি প্যাক ৩১০ টাকা, আটা প্রতি কেজি (খোলা) ২৫টাকা, আটা প্রতি কেজি (প্যাক) ৩৪ টাকা, ময়দা প্রতি কেজি (খোলা) ৩০টাকা, ময়দা প্রতি কেজি (প্যাক) ৪০ টাকা, হরলিক্স ৪০০গ্রাম প্যাকেট ৩৭৫ টাকা, গুড়ো দুধ (মার্কস) প্রতি কেজি ৫০০টাকা, ডিপ্লোমা ৫০০গ্রাম গুড়ো দুধ ২৯০টাকা, অ্যাংকর ৫০০গ্রাম গুড়ো দুধ ২৯৫ টাকা, ডানো ৪০০ গ্রাম গুড়ো দুধ ২৪৫টাকা, রেড কাও ৪০০গ্রাম গুড়ো দুধ ২৪৫টাকায়।
এসব ছাড়াও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোজ্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এক ক্রেতা মোতাহের হোসেন সানি বলেন, ‘রমজান মাস আসলেই বাজারে যেন আগুন ধরে যায়। ভোজ্য পণ্যগুলোর প্রায় অধিকাংশেরই মূল্য বাড়িয়ে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। রমজান মাস আসার আগেই কিছু পণ্যের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। আগাম বাজার করে রাখার জন্যই এসেছিলাম, অন্য সময় পেঁয়াজের দাম নিয়ে আতংক থাকলেও এবার সেটা স্বাভাবিক, তবে রসুন আর চিনির দামটা অতিরিক্ত হারে বাড়লো মনে হয়’।
সুনামগঞ্জ সদর ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি ও পূর্ব বাজার এলাকার মেসার্স আকবর আলী স্টোরের ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, ‘মে মাসের শুরুর দিকে যেসব পণ্যের দাম কম ছিল সেগুলো রমজান মাস আসার আগেই বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে চিনির দামটা হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। অন্যান্য পন্য অপরিবর্তিত মূল্যে বিক্রি হলেও মসুর ডাল, বুটের ডাল, ছোলা, আলু, রসুন, গুঁড়া মরিচ ইত্যাদির দাম বেড়ে গেছে’।